আজ সোনার ভারত ভেঙে যায়--
চোরাবালির সেতু ধরে কত পর্যটক আসে
সোনার সেতু ধরে ফিরে যায় ব্রিটেন,ইউরোপ;
এক শতাব্দীর যথাযথ মুহূর্তের অপেক্ষারত
ধূর্ত চোরের মতো
অদ্ভুৎ এক ধৈর্য।
যে একটি ধৈর্য বালির সেতুতে
ভেঙে যেতে দেখলাম,
যে ধৈর্যের এক একটি মূদ্রা সঞ্চয় করে গেছি রোজ
প্রতিক্ষার সে সিন্ধুক আচমকা ভেঙে গেল আজ।
প্রতি মূদ্রা স্মরন করিয়ে দেয়
কঠিন মুহূর্ত;
যে কঠিন বছর সহজ করে নিতে
রোজ দিন গুনে গুনে তাদের সিন্দুক বন্দি করেছি
ধূমকেতুর দূরত্বে থাকা দিনের অপেক্ষায়।
মূদ্রা ফুরিয়ে গেল কতবার
যতবার সিন্দুক শূণ্য করে পূর্ণ করি পুনরায়,
দিন তবু ফেরে না;
সঞ্চয় যে বড়ো ধৈর্যের পরিক্ষা নেয়।
তোমার শত্রুপক্ষের দেশ কি এতই ধৈর্যশীল!
কত বারুদ সঞ্চয় করেছে তারা?
তাদের কে বলো না কেন ছোটো চুক্তিপক্রে,
সঞ্চয় নিয়ে আমাদের দেশে বসতি নিতে;
মহাদেশ তাকে চিনবে অন্য পরিচয়ে; সীমান্তের কাঁটাতারে যে বালির ব্রিজ আছে
তা সোনার সেতু হতে পারে,
ঘরে ফেরার দিন হবে শুরু।
আরেকবার মূদ্রা গুনতে গুনতে
আজ হঠাৎ স্মরনে এলে তুমি;
এ এক অন্য স্মরনের কথা-
বুঝবে তুমি,
হয়তো কয়েকবার এভাবেই স্মরণ করেছো আমায়।
দেওয়ালে তোমার পুরোনো প্রতিচ্ছবি দেখে ভাবি
হয়তো অনেকটা বদলে গিয়েছো তুমি;
যতটা আমিও বদলে গেছি তোমার
বুক পকেটের কোনে লুকিয়ে রাখা
আমার প্রতিচ্ছবি থেকে;
জানি আমাদের চিনে নিতে অসুবিধা হবে না।
তবে যেন দেরি না হয়ে যায়
হ্যালির ধূমকেতুর মতো;
যতদিনে তার পরিচিত নক্ষত্রের মৃত্যু হয়ে যায়
যতদিনে ভুলে যাবো মূদ্রা সঞ্চয়ের কারণ
ভুলে যেতে পারি,
কবে একদিন আমাদের দেখা হওয়ার কথা ছিল।