(বি:দ্র:- লেখাটা কয়েক যায়গাতে মারাত্মক ভুল ছিল, তাই আনপাবলিশ করে আর একবার দিলাম...)
নিঃস্ব ক্যাঙ্গারু
বনে হঠাৎ থলিহীন ক্যাঙ্গারুর চাহিদা বেড়েছে
থলিযুক্ত শিশুর উপজনন,
ক্যাঙ্গারুর পিছুহাটার মতো নিষিদ্ধ।
তাই দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর পর যে ক্যাঙ্গারু ভেবেছিল-
থলিবন্ধ শিশুর প্রকাশ্যে মুক্তির কথা;
নবাগত বাছুরের ত্বক পরিস্কারে,
নিকটবর্তি গাভীর আদর জানাতে।
অতিতে শিশুদের নির্বাচিত পটলফুলের মৃত্যু দেখে
গোপন রাখে আরও, থলির আরও গভীরে;
যাতে, স্পর্শে কাকের ডিমের মতো নষ্ট না হয়।
এমন ডিম বিক্রির পর-
পালিত দেহের সাধারণ মাংসের মৃত্যুর কথা,
গর্ভাবস্থায় অনুভূত আঘাতের মতো
হয়তো শিশুরাও আন্দাজ করে!
সুরক্ষিত থলিতেও আশ্রয় নিতে এখন
ভ্রুণমোচনের ভয় পায়।
ফলে ক্যাঙ্গারু তার থলির ভিতর
হ্রদের চঞ্চল মাছেদের মতো ইঙ্গিতে
যে বেদনা পেয়ে এসেছে,
এখন বেদনা উদ্ভেদের সময়--
যেন রক্তাভাবে মশার পালিত লার্ভার মৃত্যুর পর
কী অদ্ভুৎ শান্ত!
হঠাৎ বেদনাহীন হয়ে,
ভয়ার্ত ক্যাঙ্গারু থলি হাতড়ে দ্যাখে
বারবার থলি চিরে
অপরিণত শিশুদের বলি দিতে দিতে
বিকলাঙ্গ হয়ে আসা ক্যাঙ্গারুর
নিষ্ক্রিয় থলির আশ্রয়ে
আর কোনো শিশু পৌছতে পারে না।
নিষ্প্রাণ বৃহস্পতির মতো নিঃস্ব;
এখন সে পরিণত একটি থলিবিহীন ক্যাঙ্গারু।
( নারীবিষয়ক )