আস্ত একটি মেয়ে চুরি হল, মেয়েধরার জালে
নিমেষে তৈরি হয়ে এল তার অর্ধেক কঙ্কাল।
অপারেশনে কেটে নেওয়া একটি করে অঙ্গ
চোখ, কিডনি, ফুসফুস, বরফের বাক্সে সুরক্ষিত;
কেটে নেওয়া হাত-পাগুলো,
পোষা নেকড়ে অজগরে ভাগ করে খেয়েছে।
জ্বলন্ত অ্যাসিডে গলিয়ে দেওয়া মুখ;
সন্ধানি সংসার তাকে শনাক্ত করতে পারে না।
তার জিভ ছিড়ে নেওয়া অনেক আগেই,
কাঠগোড়ায় সাক্ষ হয়ে না দাড়াতে পারে।

      তবে সে মৃত নয়--
ভূল প্রসবে জন্মানো বিকৃত শিশুর পরিচয়ে জীবিত।
তার অবশিষ্ট শরীর দিনের জ্বলন্ত রৌদ্রে-
মন্দিরের বাইরে,রাস্তায়, ব্রীজের উপর ভিক্ষা করে;
আর মিলনঋতুর মতো রাতে
তাকে সাজানো হয় মেয়েধরার বিছানায়।
তাকে খেলনা বানানোর মতো
অঙ্গ তারা অবশিষ্ট রাখে অবশ্যই।

      এসব ভাঙা খেলনার ধর্ষন দেখেও
চুপ করে আছে প্রশাসন, পুলিশ, বিডিও,
স্বয়ং রাজ্য মন্ত্রীও।
অথচ খেলনার মতো ধর্ষন হওয়া অর্ধেক মেয়ের
কিডনি, পুলিশের বোনকে কোমা থেকে বাঁচিয়েছে।
আর ফুসফুস নিয়ে বিচারকের স্ত্রীর শ্বাস চলে।
তার চোখ দিয়ে মন্ত্রির একমাত্র অন্ধ কন্যা
সব দেখতে পায়।
তার A-গ্রুপের রক্ত নিয়ে নিয়ে রাজ্যের বিডিও,
রক্তাল্পতা থেকে আরোগ্য পেয়ে,
আবার গর্ভবতী হতে পেরেছে
সকলে কৌটোয় চোখ রেখে অন্ধ সেজে থাকলেও
কোথাও না কোথাও খবর প্রচার হয়;
শুধু প্রচার হয় না--
কে অপহরন হল--প্রকৃতপক্ষে-- মেয়েধরা কে?



               (নারীবিষয়ক)