একটি কালো স্তন্যপায়ী
ঘরের পায়রার মতো শান্তির খোঁজে
অসম্ভব মর্যাদা পেয়ে গেলো-
বাদুড়ের শাদা ত্বকের মতো।
প্রখর অলংকারের দিন,
চতুর্দিকে নিন্দুকের মুখগুলো কাচের মতো;
শ্বেতপাথরের ফুটপাতে
নিজের গলিত পিচের রুপ দেখে
বোরখার অন্ধকারে মুখ লুকিয়ে নিশাচর হয়েছে,
রাতের সভ্যতায় ধাক্কা খেতে খেতে হয়েছে অন্ধ;
ফারিয়ার মতো জাতীয় পাখির রাজ্যে
চলতে পারেনি অক্ষম পায়ে।
সংযুক্ত বিটলের কাছে সে শিখেছে--
নেগেটিভ অ্যাসর্টেটিভ মেটিং কোনোকালে সম্ভব নয়
পুরুষ পাখিরা বেশি সুন্দর হয়
তবু বাদুড়ির ভাগ্যে জোঠে কালো ত্বক
তারা রুপের নির্যাতন দেয়না
রঙের গন্ধ শুঁকে শুঁকে ঘৃণার বিনিময়ে।
মাঝে মাঝে বৈদ্যুতিক অপঘাতে মৃত বাদুড়ির দেহে
সে দেখেছে ভিতরের মাংস ঠুকরে খাওয়ার চিহ্ন,
কালোত্বকের ভিতরেও থাকে সুস্বাদু গোলাপী মাংস
সে দেখেছে, শাদা ডিমের এত চাহিদা
অথচ বাদুড়ের থেকে
রাজহাঁসের মাংস বেশি খায় মানুষ।
ফলে রঙের অপ্রাপ্য শান্তি ভুলে সে জন্ম দিল
কিছু কালো সন্তান: তার নিগ্রো-বংশগতি
সব দেহে একই কঙ্কালের মতো বাস্তব।
এখন বাদুড়ি শান্তে পেয়েছে, খুঁজে নিয়েছে চিরসুখ
নিগ্রো বুক থেকেও--
খাঁটি শাদা পাণীয় তুলে দেয় শিশুদের মুখে।
(নারীবিষয়ক)