আমি কে? কোথা থেকে আসা?
এই প্রশ্নে ভাসে প্রাণের ভাষা।
আকাশের নিচে, মাটির মাঝে,
আমি কি শুধু এক চলমান স্রোতে?
চোখ মেলে দেখি, নিজস্ব আকাশ,
তাতে কি লিখা আছে পরিচয়ের আশ্বাস?
আমি কি শরীর, নাকি মন-জগত,
নাকি দুইয়ের মিশ্রণে সৃষ্ট এক গল্প?
আমি যদি পথিক, তবে পথ কোথায়?
নিজের ভেতরেই কি স্বর্গ-নির্বাণায়?
আমার চিন্তা, আমার অনুভব,
এসবই কি আমার পরিচয়ের স্তব?
নিজেকে চিনতে চাইলে থামতে হয়,
কোলাহল ছেড়ে নীরবতা রয়।
মনের গহীনে ডুবতে জানতে হবে,
সত্য খুঁজে নিতে জীবনের ভবে।
নিজেকে ভালোবাসা এক মহৎ ধ্যান,
যেখানে থাকে না কোনো পাপের জ্ঞান।
নিজের প্রতি ভালোবাসার সুরে,
বিশ্বকে ভালোবাসা গাঁথা থাকে দূরে।
আমি যদি গাছ, তবে ফল কোথায়?
আমি যদি সাগর, তবে ঢেউ কোথায়?
নিজের সীমা ভাঙতে গেলে,
অসীমের ডাক শুনি অন্তরশূন্যে।
আমি সেই বায়ু, যা গায় গান,
আমি সেই আলো, যা জ্বালে প্রাণ।
আমি সবকিছুতে, আমি কিছুতেই নয়,
নিজেকে চিনতে গেলে জীবন শুরু হয়।
নিজেকে খুঁজে পাই প্রতিটি মুখে,
জীবনের গল্পে, সৃষ্টির সুখে।
আমি মায়া, আমি প্রেমের ধারা,
আমি অন্তরাত্মা, চিরন্তন সঞ্চারা।
তাহলে আমি কে? আমি কী এক বিন্দু?
নাকি আমি মহাসাগর, চেতনার পিণ্ডু?
নিজেকে ভালোবাসতে শিখলে,
জগৎটা ভালোবাসা দিয়ে ভরে।
তুমি আমি, আমি তুমি—এই সত্য জানো,
তাহলেই সবকিছু স্পষ্ট বোঝা মানো।
নিজের ভালোবাসায় জীবনের জয়,
তখনই জানতে পারো, আমি কে, আর সবকিছু হয়।