বাঁশিওয়ালা ,,,,
এখনো কী তোমার বাঁশি বাজে
অচিন মায়াপুরের কোন এক বৃক্ষ শাখা
এখনো কি বাতাসে ঢালে সেই সুর মন্ত্রণা
আর সেই সুরে জীবন মরণ এক হয়ে যায় কিশোরীর বুকে জাগে কুসুম কুসুম প্রেম জীবনের সব হারিয়ে এতটুকু সুরের খোঁজে এখনো কী ঝোড়ো বাতাসে নীল রং লাগে
চির দুঃখীর পাঁজরে আঁচড়ে পড়ে সুপ্ত ব্যথা ঘোর বর্ষার পর আবার বসন্ত সেজে ওঠে এখনো কী সুরের মূর্ছনায় শৃঙ্খল ছিঁড়ে রাধারানীর নূপুর বেজে ওঠে ঐ যমুনার তীরে
বাঁশিওয়ালা ,,, ও ,,বাঁশিওয়ালা
এবার সে সুর বাজাও , যার ছোঁয়ায়
অভিমানী কাদম্বরীর সেজে উঠুক নন্দন কানন
জীবনতরুতে আবার ফুটুক অব্যক্ত প্রেমের কদম ।
বাঁশিওয়ালা ,,, এবার সে সুর বাজাও,
ভূ গর্ভে নিমজ্জিত কন্যা ভ্রূণের নিদ্রা ভাঙুক
অথবা গণ ধর্ষিতা নারী অন্ধকূপের চৌকাঠ ডিঙিয়ে এিশূল হাতে আসুক জন সম্মুখে ।
যুগ যুগ ধরে যে নারী প্রেম বোঝেনি
শুধু মাতৃত্ব বুঝেছে আর ঝাঁপ দিয়েছে
খিদে আর প্রয়োজনের জহর আগুনে ,
এমন সুর বাজাও বাঁশিওয়ালা ,,,
তলিয়ে যাবার আগে সে নারী যেন
একবার হলেও জীবৎ স্পন্দন অনুভবে শরীরে
এমন সুর বাজাও বাঁশিওয়ালা ,,,,
এমন সুর বাজাও বাঁশিওয়ালা