ছোট্ট একটি শিশু
হতবাক শুনে, কতশত রূপকথা।
সেই শিশুকে ঘিরে এই
কবিতায়, এক গল্প লেখা।
ছিলনা সে চঞ্চল,
ছিল প্রোভেয়ার ফোর,
নিয়মিত এক-বেলা।
জসীমউদ্দীনের দেশ ছেড়ে, হঠাৎ তার,
শহরে পথচলা।
দিদিমার কোল ঘেষে,
কত রাক্ষস-রাক্ষসী, বর্গি তাড়াত।
সন্ধ্যের পরেতে, স্কুলের চাপেতে
সময়ে সে ঘুমাত।
প্রথম স্কুলের বন্ধুদের সাথে
দিন তার জমত বেশ।
যদি সে জানত, খেলনার আবদার
একদিন হবে শেষ।
তবে, সে দিত এই শহর ছেড়ে
দূর দেশে পাড়ি।
পাওয়ার রেঞ্জার দেখতে দেখতে
চালাত রিমোট গাড়ি।
কিন্তু সে সুযোগ পেল সে কোথা।
দিল সময় অজুহাত।
কলেজিয়েটিয়ান হবার স্বপ্নেতে
তার ইচ্ছে কুপোকাত।
আটটি বছর পর, গ্রেগরী কলেজের
ভারে জুটল সে।
কলেজের করিডোরে নেই কোনো
শ্যামলা, মোনালিসা হাসির মেয়ে।
বায়োলজি, রসায়ন, গণিতের চাপেতে
অসহায় মনের সিলেবাস।
সময় কোথায় তার,
অন্য নারীর সাথে, ধরবার লোকাল বাস।
অগোছালো শহরের যানজটে
শিশুটিও যাত্রী এখন।
কে থামাতো আর, তার এ পথচলা -
বড় হতে হবে যখন।