(1)
নীরবতা অন্তহীন,
ছায়ার মতো ক্ষীণায়ু দিন ।
নিজের মতো বেছে নেওয়া আমার একটা ভোর,
তোর সাথে কথা বলা নিষেধ করে দিয়ে গেছে কিছু কূটনৈতিক দাস।
চারদেওয়ালের মাঝে অস্থির পদচারণা,
অদৃশ্য গণ্ডির মাঝে সীমাবদ্ধ এ জীবন ।
(2)
বিকেলের ডাকে, চিঠি আসে,
আসে না সময় ।
ভালো লাগার জায়গাটা দ্রুত হারিয়ে ফেলছি,
পথচারী পেছন পানে চেয়ে চেয়ে দেখে পায়ে পায়ে ফেলে আসা তার পথ।
(3)
ঐতিহ্যবাহী,
শব্দটা শুনলে হাসি অনেকটা আসে ।
গালভরা হাসির রোল ওঠে, তোর গালে হাসলে টোল পরে ।
মানুষ পোড়া ছাই উড়িয়ে নিয়ে যায়নি দমকা হাওয়ার রাত,
পড়ে আছে নিম্ন বিত্তের ন্যায় এক কোনে, একঘরে।
(4)
বৈঠকখানা,
মজলিশ বসেছে, সাদা ফরাসে লাল বাহারি তাকিয়া, আতরের আদরে বাবু মশায় ।
ননীর গদিতে ভ্রুকুন্চিত চকিত চাউনি, আন্দোলিত আটক পৌরুষ ।
পিষতে চায় কুহকিনী কে তার বুকের নিচে, আদিম অদম্য লালসায় ।
(5)
গহন অধিক রাত্রি, নির্জন সৈকত।
পথিক এখনও জেনো তোমার অনেকটা পথ চলার বাকি, অনেকটা পথ।
হাজার হাজার বছর ধরে জমে থাকা ক্রন্দন যে খোঁজে মুক্তির আশ্বাস ।