জ্যোৎস্নালোকিত নিঝুম রাত,
হাজারো তারার মেলা
ঐ দূর আকাশে,
মিটমিট করে জ্বলছে,
চাঁদ ও চাঁদনী-
মেঘে মেঘে লুকোচুরি খেলছে,
প্রেম যমুনায় চাঁদের আলো
প্রতিফলিত হয়ে চোখে পড়ছে।
যমুনার তীরে আলোগুলো অস্পষ্ট,
নিভু-নিভু পিদিমের আলোতে,
সেই সুর খানি বাজছে।
কত মধুর সে সুর!
চিরচেনা সেই কণ্ঠস্বর-
আমায় যেন ডাকছে।
"এসো, চলে এসো,
হয়ে যাও শঙ্খচিলের মতো,
দিগন্ত থেকে দিগন্তে,
খোঁজে নাও আমাকে।
ছিঁড়ে ফেলো সব দোয়ার,
না হলে আমি
রথটি নিয়ে চলে যাবো দূর দিগন্তে,
হাত বাড়ালেও আমাকে পাবে না ছুঁতে "
" এই তো হাত বাড়ালাম তোমার দিকে
ধরো, আমাকে আলিঙ্গন করো।
আমি এসেছি, যেও না গো।
তোমাকে আমি কত যে খোঁজেছি!
ধরা দাও আমায়,
এখন আমি এই সুরটিকে
উপলব্ধি করতে পেরেছি,
এ যেন আমারই গানের সুর।
তুমি সেই চপলা মেয়ে,
যার তরে আমি
আমার ভালবাসার প্রহর গুনছি।
আমাকে ফেলে এভাবে হারিয়ে যেও না।
এই তো তোমার হাত ধরেছি।
অনন্তকাল যেন তোমারই অপেক্ষায়,
হারানো সুর যেন বেজে ওঠে,
দিগন্তের শেষ প্রান্তে!
যেন মিলে যায় দুটি প্রাণ,
খোঁজে পাই আমার
সেই অদৃশ্য ভালবাসা!! "