অশ্রুতে ভেজানো একটি চিরকুট
তাতে রয়েছে রক্তের ছাপ,
চিরকুটের কথাগুলো ছিল-
মর্মান্তিক ও হৃদয় বিদারক।
তাতেও আমি বিস্মিত ছিলাম না,
তবে কি আমি স্বার্থপর হয়ে গেছি?
একটি মেয়ের নিরবে ঝরে পরা
অশ্রুর মূল্য দিতে জানি নি তখনও।
'আমি ওর প্রতি অন্যায় করেছি,
এর কোন ক্ষমা নেই,
যদি সে আমাকে ক্ষমা না করে-
আমি অপরাধী হয়ে থাকব সারাটি জীবন ধরে,
যা আমাকে কুরে কুরে খাবে।'
ছুটে গেলাম তার কাছে
দেখি সে গভীর ঘুমে আছন্ন
নাকে দু'টুকরো তুলা দেওয়া,
সবাই কাঁদছে তারই পাশে।
'কি হয়েছে? সবাই কাঁদছে কেন? '
আমি স্তম্ভিত হয়ে যাই।
আমার বুকে পাষাণ অস্তিত্বটি
জেগে ছিল এতদিন।
হঠাৎ ক্ষণিকের ব্যথায় আবেগে আমি
মর্মাহত, কষ্টে জর্জরিত, আর অশ্রুসিক্ত।
আমি জানতাম না অশ্রু কি জিনিস?
'অামার চোখ দুটি এত-
অাবছা-আবছা লাগছে কেন?
তার মানে কি আমার চোখে অশ্রু?
তাহলে কি আমি কাঁদছি?
বিশ্বাস হলো না আমার।'
মরণব্যধি ক্যান্সার তাকে নিয়ে যেন
রওনা হলো স্বর্গপানে, স্বর্গের অপ্সরীরা-
গেঁথেছে পুষ্পের মালা তারই জন্যে ।
চিরকুটটি আমার পকেটেই থেকে গেল,
আমি তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার
সুযোগই পেলাম না।
যুগের পর যুগ কেটে গেছে,
চিরকুটটি এখন বর্ণহীন ও ফ্যাকাশে,
তবুও হৃদয় বিদারক স্মৃতিটি আমার মনে
সাইক্লোনের মতো আঘাত হানে।
ফের আমার চোখে অশ্রু বয়ে অাসে।
কি আর করব? আমি কাঁদি।
আমারই অশ্রু দ্বারা এখন
চিরকুটটি ভিজে যায়।