নিশীথ রাতে চাঁদের আলো,
স্নিগ্ধ শীতল মাখে ত্বক,
রূপের স্রোতে ঝরায় মোহ,
আলো-ছায়ার রঙিন ছক।
শিশিরবিন্দু ঘাসের কোলে,
রূপকথারই সুরে বাজে,
হাজারো জোৎস্না স্নানের মাঝে,
মনের আকাশ হারায় লাজে।
নদীর বুকে জোছনার ছোঁয়া,
ঢেউয়ের মাঝে নাচে সাদা,
শান্ত সুরে বাতাস গায়,
প্রকৃতির এই অপার কাঁদা।
রাতের চাদর বিছিয়ে আছে,
স্বপ্ন জুড়ে রূপের খেলা,
জোৎস্না স্নানে হারাই আমি,
ভাসি নীরব প্রেমের মেলা।
হাজারো জোৎস্না স্নানে ভিজে,
নিশীথ রাত স্বপ্ন আঁকে,
রূপের আলো নেমে আসে,
চোখের পাতায় নিঃশব্দ ডাকে।
তটের বাঁকে নরম কুয়াশা,
শিহরণ তোলে শীতল হাওয়ায়,
নদীর জলে সাদা আলো,
ছড়িয়ে পড়ে নীল গাঁয়।
তুমি আমি বসে দু'জন,
নীরবতার বুনন বুনি,
সাদা রূপালি ঢেউয়ের ভেলায়,
ভাসিয়ে দিই প্রেমের ধুনী।
চাঁদের তলে মেঘের ছায়া,
খেলা করে বাতাস বয়ে,
হাজারো জোৎস্না স্নানের রাতে,
স্বপ্নগুলো বাঁচুক হয়ে।
হাজারো জোৎস্না স্নানে,
নদী জলে খেলে আলো,
বকুল বনে সুগন্ধি মেখে,
মাতাল হাওয়া বাজায় তাল।
শাখায় শাখায় রুপালি ছোঁয়া,
ঝিলের জলে দোদুল দোলা,
আকাশজুড়ে স্বপ্নের মেলা,
তন্দ্রাহীন এক মনোমোহা।
নিস্তব্ধ রাত জেগে থাকে,
চাঁদের হাসি ঝরে পথে,
স্মৃতির গাঁথা, ভাঙা গান,
জোৎস্নায় ফিরে স্বপ্নরথে।
ভিজে যাক এই হৃদয়খানি,
শুভ্র আলোর মায়ায় মেতে,
হাজারো জোৎস্না স্নানের মাঝে,
হারিয়ে যাই ভালোবেসে।