অঝরে নেমেছে বৃষ্টি, দমকা হাওয়ায়
এলোমোলো কেশ,
বারবারই এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।
সেটা ঠিক করতেই-
সে কত না ব্যস্ত!
আর আমি!
আমার মনের চাওয়াগুলো
ঠিক করার সময় পাই নে।
পাই নে বললে ভুল হবে। পাই।
সে মনের মাধুরী দিয়ে-
আমার চাওয়াগুলো সাজিয়ে দিবে
-এই বিশ্বাসে ভাসি নহর কল্লোলে।
হঠাৎ একদিন! মুখোমুখি দুজনে,
বিষাদের অনলে চলে কথোপকথন।
“ধরে কি নেব? তোমার সাথে আমার
আর দেখা হবে না। কথা হবে না।”
“হতেও পারে।"
“তোমার সাথে কাটানো সময়গুলো
এক একটি স্মৃতি হয়ে থাকবে।”
“ মনে কি রাখবে আমারে?”
“হয়ত একটু বেশি।”
বিষাদের কথাগুলো যেন আর
শেষ হতে চায় না।
বিষন্ন মনের সব কথা বলতে পারিনি।
বলতে পারিনি-“ তুমি যেও না।
সেও তো বলতে পারত- আমি যাব না।”
তারপর থেকেই বিষাদের অনলে পুড়ে
একাকী আমি, সেও তো একই জ্বালাই
জ্বলছে আর প্রতিনিয়ত দুজনেই।
এরপর কুড়িটি বছর কেটে গেল!
চোখে উঠল মোটা ফ্রেমের চশমা।
প্রতিদিনকার নিয়ম মেনে,
ছুটে চলি তারই খোঁজে-
ছুটে চলি অজানা দ্বীপে।
হতাশা আর ক্লান্ততার গ্রাসে
বসেছি সেই স্থানে,
যেখানে মুখোমুখি দু'টি মুখ
বিষাদের অনলে অদৃশ্য হয়ে যায়
মনের কোণে।
“চশমাটা কখন ধরলে?”
“তুুমি! কখন এলে?”
“ এই তো কিছুক্ষণ”
“কেন এসেছ?”
“ দুজনের মনের বিষাদটুকু-
ভাগ করে নিতে। তুমি তো বলতে পারতে-
অপরাজতিা তুমি যেও না। কিন্তু তুমি বলো নি।”
“ আমি বলেছি তুমি শুনতে পাও নি।”
“ চলো আনিছুর, বাসায় চলো।
“কেন? কি বা দরকার তাতে?
এখানে কিছুক্ষণ থাকি না।”
“তোমার কি মনে নাই?
আজ আমাদের কুড়িতম বিবাহ বার্ষিকী।
বাসার সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে,
তোমার ছেলেও।”
আমার মনের অগোছালো চাওয়াগুলো
সে গুছিয়ে রেখেছিল।কিন্তু।
আমি এসবের কিছুই জানি নি। কিছুই বুঝি নি।
রচনাকাল: ০৭/০১/২০১৮ ইং