বাংলা কবিতা ডট কমে কবি ড. সুজিতকুমার বিশ্বাসের ছন্দ বিশ্লেষণ বেশ কারুকার্যপূর্ণ। তিনি প্রায় আলোচনায় অনেক কবির কবিতার ছন্দ বিশ্লেষণ করেন। আমি ছন্দ বিশ্লেষণে তেমনটা পারদর্শী নই। তবুও নিত্যদিন কবিতা লিখি যা মাত্রাবৃত্ত ছন্দের মধ্যেই পড়ে। অক্ষরবৃত্ত ছন্দে আমার তেমনটা জ্ঞান নাই।কবি ড. সুজিতকুমার বিশ্বাসের ছন্দ বিশ্লেষণ সম্পর্কে গঠনমূলক আলোচনা বাংলা কবিতাকে আর সমৃদ্ধ করবে আশা করি। এখন আমি ছন্দের উপর পড়াশুনা করছি। তবে কোন কোন সময় কবিতা লিখি তখন ছন্দের আলোকে বিচার করি না। কারণ ছন্দ বিশ্লেষণের আলোকে কবিতা লিখতে গেলে তালগুল পাকিয়ে ফেলি।
কবি ড. সুজিতকুমার বিশ্বাসের কাছে আমার একটা প্রশ্ন আছে তাহলো-
১. কবিতা লিখে কি ছন্দ বিশ্লেষণ করব নাকি ছন্দ বিশ্লেষণ করে তারপর কবিতা লিখব?
মাঝে মাঝে কবিতা লিখে প্রকাশ করি তবে এটি কোন ছন্দে হয়েছে তার বিচার করি না। একথা সত্য যে, কবিতাতে ছন্দ আছে বলেই কবিতা আজো সমৃদ্ধ হচ্ছে। কাব্যের দিগন্ত আরো প্রসারিত হচ্ছে।
আমার কবিতা " বাংলা কবিতার ছন্দ" কবি ড. সুজিতকুমার বিশ্বাসকে উৎসর্গ করলাম।
বাংলা কবিতার ছন্দ
- মোঃ আনিছুর রহমান (তারুণ্যের কবি)
বাংলা কবিতার ছন্দ
বাংলা শব্দের আনন্দ,
বাংলাতে ছড়ায় সুগন্ধ,
প্রসারিত কাব্যের দিগন্ত।
অক্ষর কি ভাই?
"অক্ষর হলো তাই-
এক নিঃশ্বাসে শব্দের যেটুকু বলি হায়।
মাত্রা কি ভাই?
"এক নিঃশ্বাসে শব্দের যেটুকু ভেঙে বলি তাই।
কলম বলতে বলি ক+লম
একে দুই মাত্রা বললে ভুল হবে কম।
দুই বর্ণেও হয় একটি অক্ষর,
কলমে ক মুক্তাক্ষর, লম বদ্ধাক্ষর।"
পর্ব কিসে হয় ভাই?
"কবিতাতে পর্ব দেখাতে হয়,
এক নিঃশ্বাসে বাক্যের যতটুকু পাঠ হয়।
শুন তবে, তাকেই তো পর্ব বলে কয়।"
"এইখানে তোর/ দাদির কবর/ ডালিম গাছের/ তলে
তিরিশ বছর/ ভিজায়ে রেখেছি/ দুই নয়নের/ জলে"
"এখানে পর্ব ছয় মাত্রার, দুই মাত্রার অতিপর্ব রয়
পর্ব একটিমাত্র শব্দে হলে, তাকেই তো অতিপর্ব কয়।"
আছে কি ছন্দের আমেজ?
"আছে তো ছন্দের প্রকারভেদ,
স্বরবৃত্ত ছন্দ, মাত্রাবৃত্ত ছন্দ আর অক্ষরবৃত্ত ছন্দে
বাংলা কবিতা সমৃদ্ধ হয় শব্দের আনন্দে।
স্বরবৃত্ত ছন্দ ছড়ায় বহুল ব্যবহৃত হয়,
সহজ-সরল,অতি প্রঞ্জল, থাকে দ্রুত লয়।
মাত্রাবৃত্ত ছন্দের গতি স্বরবৃত্তের চেয়ে ধীর,
মাত্রাবৃত্তের চরণে শেষ পর্ব অপূর্ণ থাকে অধীর।
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ একমাত্রা বিশিষ্ট মুক্তদল তাই
অক্ষরবৃত্ত ছন্দের আবৃত্তির গতি ধীর হয়ে যায়!"
"ছন্দ-ছন্দ-ছন্দ
মনেতে ছড়াই কাব্যের আনন্দ,
বাংলা ভাষা অতি রঞ্জিত লয়ে ছন্দ।"
রচনাকাল: ০১/০৮/২০১৮ ইং