জান্নাতী খুশবু ছুটছে ভুবনে।
প্রেমময় রবকে দিয়েছি ধরা, ঘৃণার বুক চিরে।
পৃথিবীর যত সুখ লুটিয়ে পায়ে, করছে হাহাকার।
বিচ্ছিন্ন পাঁজর রাখেনা–অভাবের খোঁজ।
রমাদান, তোমার আগমনে মুখরিত মানবজীবন?
নীল–নকশা আঁকা, রক্তিম পৃথিবী।
শ্বেত পলাশের পাপড়ি ছিঁড়ে লেখা হয়, ব্যথার দাগ।
লালসার অতৃপ্ত নেশায় বিভোর, দুইখানা হৃদয়।
ছুঁয়ে যায় বুকের লোমের ওপর থেকে, দীর্ঘ তারাবী।
রমাদান, তোমার আগমনে ঘটে মানবের পরিবর্তন?
পিপাসা বুজিয়ে ছুটেছি ঘোরে।
ধোঁয়ার কুণ্ডলী আঁকাবাঁকা ভঙ্গিতে, ছুঁয়ে যায় আকাশ।
নীচে পড়ে থাকে তাকওয়া রাঙা, দীর্ঘ পিপাসার সাধনা।
পড়ে থাকে ইতিহাস, বদর, রক্তিম রাঙা ওহুদের প্রান্তর।
রমাদান, তোমার আগমন ঘটে ইতিহাস জাগরণে?
হায় রমাদান!
পৃথিবীতে এসেছো ফিরে, করেছো ভাগ্যবান।
উঠলো মেতে লেবাস টুপি, রইলো পড়ে ঈমান।
তাকওয়া পুঁজি রইলো মিছে, রাত কেটে যায় ফিৎনাবাজে।
রবের দ্বারে ঘুরে ফিরে, রবকে ছাড়ার বাহানায়।
রমাদান, তোমার আগমনে কাকে খোঁজে মানবজীবন?