আজও কি তুমি বসে থাকো কিছু না কিছু হাতে
মফিজ চাচার বাদাম দোকানে আমার আসার পথ চেয়ে
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে, রেস্তোরাঁয়-
কখনো বই-খাতা-পেন্সিল, উপন্যাসের স্টলে।
প্রতিদিন তোড়া হাতে দিনের পর দিন অপেক্ষায় থেকে থেকে
অবশেষে কোনো এক গোধূলি কালে কোনো কিছু না বলে
কোথায় হারিয়ে গেলে তুমি আমার সাথে অভিমান করে
তারপর থেকে আমার আকাশের তারাগুলো ধূসর হচ্ছে ক্রমান্বয়ে
আমার আশার বাতিগুলো ডুবে যাচ্ছে পাতালের তলদেশে।
আজও আমি ঘুরে ঘুরে খুঁজছি... তোমাকে
তুমি কি এখনও ভালোবাসো আমাকে,
ত্রিশ বছর আগের কথা; তোমার কি আর আমার কথা মনে আছে!
তুমি আমায় অনেক-অনেক নিখুঁত ভালোবেসেছিলে জেনে
তোমার কাছ থেকে আরও আরও ভালোবাসা পাওয়ার কৌশলে
তোমায় দেখতে ছিলাম দূরে দূরে রেখে
তোমার বিরহী মুখখানি আমার কাছে কেমন লাগে!
মাঝপথে ভুল বোঝাবুঝির বেড়াজালে সাঁকোটি গেলো ভেসে অজানা স্রোতে।
আর তার-ই মাশুল দিচ্ছি আমি কড়ায়গণ্ডায় হাড়েহাড়ে
আজও আমি খুঁজছি তোমায় যত্রতত্র হন্যে হয়ে
তোমার মতো ভালোবাসা আর কি কেউ আমায় দিতে পারে!
তুমি এখনও কি আত্মীয় বাড়ি এলে নদীর তীরে আসো দল বেধে
এখনও কি ঘাটের ওপারে আগের মতো কাশফুল ফোটে,
শিউলি দোলে, বকুল আরও আকুল করে-
দোয়েল, শ্যামারা কি তোমার আমার নাম ধরে আগের মতো সুর তোলে!
শুনলাম; নদীটির ওপারে কিছুটা দূরে বিশাল এক চর জেগেছে।
মৌরী; সেই শুকনো তোড়াগুলোর দু'একটা কলি কি আজ আছে পড়ে
তোমার কোনো ঘরের আনাচে-কানাচে কিংবা বিছানার নিচে
দু'একটা পাপড়ি কি আছে লুকিয়ে কোনো বইয়ের পাতার ভাঁজে!
না- না- তোমায় আর নিয়ে আসতে হবেনা আমি-ই আসবো,
আমি-ই কুঁড়িয়ে নেবো- শুধু বলো; তুমি এখন কোথায় আছো,
আমি-ই খুঁজে নেবো;
তোমার কাব্যগ্রন্হের সবগুলো লাইন একটা একটা আবৃত্তি করে।