কয়েক বছর ধরে সে পথ হাঁটিতেছে ফৌজীর পথে,
ঝাড়খন্ড বিহার হতে আরো দুর ছত্তিসগড়ের রাতে।
অনেকে ঘুরেছে সে।
জম্মু কাশ্মিরের বরফ জগতে।
যেখানে ছিল সে...
আরো দুর অন্ধকার মণিপুরের জঙ্গলে।
সে উচ্ছল প্রাণ এক,
জমে থাকে বন্ধুদের হৃদয়ের কোনে।
যতো আছে স্থান তার প্রেয়সীর মনে।
চোখ তার ভিরু ভিরু, কাঁপা কাঁপা ঠোঁট,
দখিনা বাতাসে উন্মুক্ত চুলের বেণী-
ঢেউ দোলায় যেন অম্বরে মেঘ জমে।
ক্ষনকালের দর্শনে বন্ধু হারায় তার দিশা।
অনেক সাধ্যাতিত প্রচেষ্টার পর যখন পায় এক মাসের ছুটি,
পূর্ণিমার চাঁদ মনে সবে উঠি উঠি,
তেমনি দেখে সে গিয়ে।
কান্না জড়ানো কন্ঠে বলে এতদিনে সময় পেলে?
রক্তিম মুখ লুকিয়ে বুকে-
যাওনিতো ভুলে!
ধীরে ধীরে কেটে যায় তিরিশটি দিন,
মনে ছুটির বিহ্বলতা কাটিয়ে ওঠে।
মনের সব যন্ত্রণা চেপে রেখে মনে।
ব্যগ প্যকিংয়ের হয় আয়োজন।
তখন জীবনের তরে চাকরিই বড় হয়,
সবার বিদায় নিয়ে, প্রিয়া থাকে নীরব একেলা দুরে।
মনে ঘনায় অন্ধকার,
ফিরে আসে হাতে ধরা রাইফেলের গর্জনের তরে।
অনুকরণ :-
বনলতা সেন: জীবনানন্দ দাশ