"আমি কখনও কোনো বাবাকে ই খাঁটো করে দেখিনা। কিন্তু, মডার্ন টেকনোলজির যুগে আমরা যারা বাবা হয়েছি তাদের চিন্তা,চেতনা, উচ্চাশা আর তখনকার যুগে আমাদের বাবাদের ত্যাগ, শ্রম ও নিঃস্বার্থ পরায়নতার মাঝে অনেক পার্থক্য খুঁজে পাই। সন্তানের ভালোর জন্য আমাদের বাবারা নিখাদ অনাড়ম্বর জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। সন্তানের কাছ থেকে কিছু পাবার আশা তাদেরকে লাগামহীন করতে পারেনি কখনও। পক্ষান্তরে, আমরা যারা সন্তানের পিছনে অর্থ ও স্বার্থ ব্যয় করে চলেছি তারা অনেকেই প্রতিনিয়ত তার থেকে চড়ামূল্যে ফিডব্যাক পেতে উদগ্রীব থাকি।আবার কোন কোন ক্ষেত্রে সন্তানের উপর প্রচুর চাপ প্রয়োগ করে থাকি এমনকি সেই উচ্চাশা কে চরিতার্থ করতে নীতি নৈতিকতাকে ডিঙিয়ে দুনিয়ার মোহে পড়ে যাই এবং যা সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠনে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়। সমকালীন এমন কিছু চাক্ষুষ ঘটনা আমাকে ব্যথিত ও আহত করেছে। আর এমনি ছোট্ট গবেষণা থেকে আজকের ছড়াটি লেখা । ভাবনা ও অনুভূতি একেকজনের একেক রকম। তাই ভিন্ন মতকে আমি সম্মান করি। আপনার ভাবনা যাই হোক আসুন এবার ছড়াটি পড়া যাক।
--------------------------------------------------
এই বাবা আর সেই যে বাবা
ভীষণ রকম ফাঁক,
তখন ছেলের জিঁদ ছিল না
মায়ের চোখে নীদ ছিল না
ছিলো না রাগ ঢাক।
সেই বাবা যে ছিলেন খুবই
সহজ সরল লোক,
কিচ্ছু তে তার লোভ ছিলো না
কারোর প্রতি ক্ষোভ ছিলো না
না ছিলো ঢের ঝোঁক।
তখন বাবা পায়ে হেঁটেই
যেতেন অনেক দূর,
পথে হাজার যান ছিলো না
তবুও অভিমান ছিলো না
করতো না ভাঙচুর।
বাবারা আজ অনেক মডার্ন
টাকার অভাব কম,
ছেলে যতোই হাবাগোবা
পিছে ঘোরে মেয়ের বাবা
যায় বেরিয়ে দম।
তখন বাবার ঘামের দামে
কিনতো ছেলে জ্ঞান,
এখন বাবা স্বপ্নে বিভোর
ধার ধারেনা বন্যা সিডোর
ছেলে সুপার ম্যান।
তখন বাবার চোখের পানি
লাগতো কাজে বেশ,
এখন বাবা পাবার আশায়
টাকার পিছে তরী ভাসায়
ঈমান আমল শেষ।