কুঁড়ে ঘরে জন্ম আমার স্মৃতির পাতা কই,
পায়নি খুঁজে বলতে গেলে বেড়ে ওঠার মই।
নুন আনতে পান্তা ফুরোয় চুন আনতে পান,
করুণ সুরে তাই গেয়ে যাই তরুণ দিনের গান।
মনের কোণে স্বপ্ন তবু আসতো উঁকি দিয়ে,
ধনীর দুলাল নিত্য দিনে হাসতো আমায় নিয়ে।
ছেঁড়া বেশে উস্কো কেশে ফ্যাল ফেলিয়ে চাই,
আমার সে দিন এমনি গেছে স্মৃতিতে যা পাই।
আটার রুটি লুটোপুটি খাইছি কজন মিলে,
মিষ্টি আলুর দম কতোযে খাইছি গিলে গিলে।
এক পোশাকে বছর ঘুরে আসতো ঈদের দিন,
সেসব স্মৃতি মনের কোণে আজো অমলিন।
আম কুড়াতে যেতাম তখন যেতাম নেবুর তলে,
শালুক খুঁজে মিটিয়ে নিতাম গোসল ঝিলের জলে।
কাঁচের গুলি খেলতে পাড়ায় কাটিয়ে দিতাম দিন,
সেদিন গুলোর কাছে আমার আছে অনেক ঋণ।
রাখাল হয়ে সেদিন গুলো কেটেছে বেশ ভালো,
রাতের বেলায় ভাঙ্গা ঘরে পেতাম চাঁদের আলো।
নীরব ভাষায় কাঁদতো এ বুক ঝরতো চোখে জল,
আজকে সেচোখ আলোয় ভরে করে যে ঝলমল।
ফেলে আসা দিনগুলো যে এমনি স্মৃতি হয়,
মিষ্টি তেঁতো যেমন ই হোক সবই প্রীতিময়।
প্রভুর কাছে এই মিনতি জানাই নিরবধি,
আমায় তুমি শুধরে নিও পথ ভুলে যাই যদি।
তারিখ: ০২/০৯/২০২০ ইং
সিটি প্লাজা, যশোর সদর
যশোর।