শুনো ঐ বন্দিশালায়
ক্রোন্দন গগন ফাঁটা,
গুনো ঐ খাঁচায় কত
পাখিদের জীবন ভাটা।
জালিমের বন্দি খানায়
দেখো ঐ করুন ফাঁসি,
এজিদের সৈন্যরা সব
হাসে ঐ অট্র হাসি।
তবে কি এরা সবাই
সীমরের রক্তে পাগল?
এরা কি করবে খতম
হোসেনের সৈন্য সকল?
দেখো ঐ শুন্যে ভাসে
ক্ষুধিতের কান্না করুন,
কবে যে হবেই উদয়
সকাশে রক্ত অরূন।
তবে রে হোসেন সেনা
হাঁকরে হায়দারী হাঁক,
যতো সব মাজলুমেরা
যাকরে ছাড় পেয়ে যাক।
বন্দির নিঃশ্বাসে আজ
নিভে যাক প্রলয় শিখা,
তাগুতের মসনদে আজ
এঁকে দাও ক্রস রেখা।
আমরা তো খালীদ সেনা
নিমিষেই হাঁকাই ঘোড়া,
যতো সব দস্যু সেনা
পিটিয়ে করবো খোঁড়া।
যদিও সুখ সাফিনা
ভেসে যায় ঢের তুফানে,
মিলে আজ সব মাল্লা
এগুবো স্বর্গ পানে।
আমরা তো রাঙ্গা পথিক
আখিরের স্বর্গ লাগি,
সত্যের ঝান্ডা হাতে
সংগ্রাম করবো জাগি।
(তাগুত=খোদাদ্রোহী বাতিল শক্তি)