অচানক ফাগুনে আগুন ফলেছিল / অনিরুদ্ধ আলম
বেলা-অবেলাজাগা
এই-না আলাভোলা আমাকে মুঠো ভ’রে গড়ের খড়কুটো
গহীনা ভালোলাগা
দিছিলো উপহার।
অচানক ফাগুনে উথলে উঠেছিল প্রাণের পারাপার
বসন্ত বউরি বাহারি দীপ্তির আগুনে জ্বলেছিল কত যে শত বার।
শালিক পাখি দুটো
রোদের কাঁচা বোঁটা ঠুকরে খেতেছিল
হাঁসেরা পেতেছিল
একটুকরো গোরা দুপুর ফুরফুরে নিখুঁত ঝিলমিল।
ব্যথাতে ঘন নীল
খয়েরি পাংশুটে পাতারা পাখি হয়ে গেছিলো অনায়াসে।
দিঘিতে আঁকাবাঁকা বাতাস ঘুরে-ঘুরে বয়সী উল্লাসে কেবলি ফিরে আসে
তখন প্রান্তরে প্রীতিতে উপনীত মেঘেরা ছেয়েছিল
ওদের কেন জানি আবেগে থরোথরো অরুণা নদীটার নেশাতে পেয়েছিল।
পলাশ জেগেছিল জবার অনুরাগে
জানালা মেললেই ফিনকি দিয়ে শুধু দু’চোখে আলো লাগে।
ইলশেগুঁড়ি রঙে সকাল-বিকেলের ধুলোরা উত্তাল
সাজানো পরিপাটি বেগুনি শাদা লাল
বেশি বা কম কালো
সবুজ হলদেটে দারুণ জমকালো
গোলাপি অগোছালো
এসব থোকা আলো
ভীষণ ভালো লাগে। ভীষণ ভালো লাগে। ভীষণ ভালো লাগে।
হৃদয় মেললেই ফিনকি দিয়ে শুধু দু’চোখে আলো লাগে…