থাকি আমি গো শব্দের প্রথমার একবচনে
শৈশবে চোখ মেলার পর হারিয়েছি মাকে
তারপর থেকে এই প্রাঙ্গনের মালিক যে
আমার মা-বাবা-পরিবার সমকিছুই সে
মালিক হলেও তার থেকে পাই অনেক স্নেহ
একমাত্র আমি ছাড়া তারও যে নেই কেহ
সারাটা দিন যায় একে অপরের ভালোবেসে
এমনভাবেই আমাদের প্রত্যেকটা বসন্ত কাটে
গলায় বৃত্ত ঝুলিয়ে এরাত-ওরাত থাকি বাঁধা
রাস্তার পাশে ঘাস পরিধিতে আটকে থাকা
তখন শুধু লক্ষ করি রাস্তার নানা মুনি নানা জন
কেউ রাম, কেউ বা লক্ষণ,কেউ বা লঙ্কার রাবণ
তাই মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে ওই রাক্ষসগণকে
দি-ই কানা করে ওদের জ্বলন্ত চোখগুলিকে
কিন্তু বুড়ো বাবার মুখ চেয়ে হয় না কিছু করা
মনের বাসনা থাকে অ-পূর্ণ,শুধু স্বপ্ন দেখা ছাড়া
তবে আমারও আছে বিশ্বাস মালিকের উপর
একদা বৃত্ত ছিঁড়ে মাথায় পড়াবে যুদ্ধের টোপর
সেদিন রাবণের বুকে আনবো আঘাত শিং দিয়ে
করবো লঙ্কা পুড়িয়ে ছাড়খার, হনুমান হয়ে
গড়বো নতুন দেশ, বানাবো সব অশোকবন
যোগ্যতার বিচারে পাবে সবাই সিংহাসন
আজ আমি মুক্ত, কোনো লাভ নেই আর শাসিয়ে
শপথ করেছি আঁকবো রামধনু লাল সবুজ মিশিয়ে