আমার কিছু কথা ছিল
যা ২৫ বছরের পুরানো শুকনো পাতা
যার পড়ন্ত আওয়াজ তুমি শুনতে পেয়ে---
আকাশ থেকে কান সরিয়েছিলে।
যাকে তুমি কোকিলের ডিম বুঝেও
না বোঝার ভান করেছিলে।
কিন্তু আমি যে চুপিচুপি পড়ে নিয়েছিলাম
ভালোবাসার কালিমাখা তোমার মনের ডায়েরিটা
তাই তো...
আড়াল থেকে শুনতাম তোমার কবিতা
যা আমাকে নিয়ে লেখা তোমার রচনা,
তাই তো...
তোমার আনা প্রতিদিনের কুড়ানো ফুলকে
আলতো করে সাজানো থাকত আমার কবরীতে।
আজ সেই কুন্তলে সাদা ফেনার ছটা,
তুমিও বিবাহিত কবিতার সাথে,
আর আমি সেই পুরানো বাগান ঘরে---
মরচে প্রায় ঘড়িটার মত ঘুরে চলেছে চারিপাশটা
তোমার পাওয়া পুরস্কার,ছেড়া কবিতার পাতা
ধুলোপড়া টেবিল, আর ভাঙা দরজা-জানালা
সবাই আগের মত বর্তমান
শুধু তুমিই আজ অতীত।
তাই ওদেরকে দিয়েই আমার শুকনো
পাতাগুলোতে বারুদের ছোঁয়া লাগিয়ে চলেছি
পোড়ানো পাতার গন্ধ তুমি যদি পেয়ে যাও
সেই আশায়…
আহুতি দেওয়ার সাথে সাথে চিৎকার করে
মন্ত্রপাঠ করেছি শক্তি চাটুজ্জ্যের---
“অবণী(দা) বাড়ি আছ?”
না অবনী দা...
কোন উত্তর আমি পাইনি---
তোমার কোন সাড়া মেলেনি---
আমার কিছু কথাগুলো রয়েই গেল
তোমাকে আর শোনানো হল না ।।