খুব চেয়েছিলাম "ভালোবাসা" বানান টা দুজনে একসাথে লিখবো।
যে শব্দের ভার বহন করবো দু'জনেই একই ছাদের নিচে।
ভালোবাসার খেলাঘরের সল্প সময়ের বাঁধনো
গল্প গুলো এখন খন্ডে খন্ডে
দ্বিখণ্ডিত আমাদের, তাই না.?
হঠাৎ ভালোলাগার বিহ্বলতায়
তোমায় ভালো লেগেছিলো, এক পলকে।
পথিক যে পথ হারিয়েছে তোমায় নিয়ে
তা তোমারই অজানা।
মনেরও একটা আয়তন আছে,গভীরতা আছে,
আগেই যদি জানতাম গভীরতা মাপতে গিয়ে
নিজেকই তলিয়ে যেতে হবে,
বোধহয় এমন ভালোবাসা আমি বাসতাম না।
মুখোমুখি হতাম অন্যের সান্নিধ্যে,
যাকে আমার করে পাওয়া যাবে।
যদি কখনো দু'টো আত্মা একত্রিত হয়ে এক হয়,
নিস্তব্ধতায়ও তারা একে অন্যকে শুনতে পারে,
অনুভব করতে পারে।
আমায় অবহেলা যতবারই ছুঁড়েছ, ততবারই
আমি ভালোবাসা ভেবে কুঁড়িয়ে নিয়েছি,
ভালোবাসা পেতে আমি কার্পূণ্যতা করি না।
অন্যের হাতে হাত রেখে,
তুমি ভালো রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছো হয়তো,
তবে সে হাত রাখো ধরে আজীবন, আমরণ।
নিবেদন করা নিবেদিত প্রাণে যেসব স্মৃতিচিহ্ন
দেয়া-নেয়া হলো, তা সবই আজ এই মেঘলা
দিনের বৃষ্টিতে ঝরছে অঝোরে।
তোমাকে না পাওয়ার মধ্যে একটা স্বাদ পাচ্ছি,
সেই স্বাদটুকুর নাম দিয়েছি আমি বিষমমৃত।
তবে একটিবার হলেও জেনে রেখো,
আমার সমস্ত টুকু দিয়ে তুমি নামক
অপ্রাপ্তি কে, আজ প্রাপ্তিতে প্রাপ্তযৌবনা।
তুমি আমার সর্বদা সর্ব কালের যথেষ্ট
একমাত্র পাওয়া পানকৌড়ি।
***************************
২৩শে এপ্রিল ২০২২ইং.