সেদিন কলেজের উদ্দেশ্যে বের হলাম,
ঝুম বৃষ্টির কবলে পড়তে হোলো,
আবাসিক আবাসনে এক ছোট্ট গাছের নিচে দাঁড়ালাম।
একটু পর দেখি,
আমার গায়ে বৃষ্টির ফোঁটা লাগছে না,
ভিন্ন রঙের রঙিন ছাতা আমায় আবদ্ধ করলো,
আমাদেরই ফ্ল্যাটের তৃতীয় তলার,
৩০১ নাম্বার বাসার মেয়েটি।
প্রতিবেশী হিসেবে তারাও যে একটা দায়িত্ব আছে ,
সেটা পালন করতে তার ভুল হয় নি।
কে জানতো সেদিন জীবনের মোড়,
অন্যভাবে ঘুরে যাবে।
তাকে অপরূপা বলবো না, তবে সে খুব সুন্দরী।
প্রথম আলাপচারিতায় পরিচয় পর্ব টা
শেষ করলাম এক ছাতার নিচে।
এমন পরিচয় টা মনে থাকবে ,
যে পরিচয়ে ওর নাম জানা হোলো না।
দেখতে দেখতে চলতে চলতে
খুব গাঢ় হয়ে গেলাম ওর প্রতি।
কোথাও যেন শুনেছিলাম,
পৃথিবীতে দুটো অনুভূতি কখনোই উপেক্ষা করতে নেই,
এক হলো, মেঘলা আকাশে বৃষ্টিতে ভেজা ,
দ্বিতীয়টি হলো, ভালোবাসার মানুষটির সাথে,
ভালোবেসে সিক্ত হওয়া।
হুম আমি পারি না, সত্যিই আমি পারি না,
অংকের মার প্যাঁচ জানি না ,
কিন্তু আমি বলতে পারি, তোমার অলিখিত পছন্দ,
আমি বলে দিতে পারি, তুমি কোন দিনে কি রঙের
শাড়ি পরতে পছন্দ করো।
সত্যিই আমি টাইয়ের গিটটা,
এখনো শিখতে পারি নি ,
তবে বাস স্টেশনে তোমার জন্য
অপেক্ষা করতে শিখেছি, এক পলক দেখবো বলে।
গলা ছাড়িয়ে সুরে সুর তুলে গান গাইতে পারি না,
তবে তোমার গুনগুনিয়ে গাওয়া সুর শুনতে পারি,
অনুভব করতে পারি বটে ।
কিভাবে ভালোবাসি বলতে হয় তা জানি না ,
তবে আমি ভালোবাসতে জানি।
কিভাবে চিরকুট লিখতে হয় তাও জানি না ,
কলেজের প্রতিযোগিতায় তোমার লেখা কবিতা টি ,
খুব মন দিয়ে পড়েছি।
ভীষণ একাই একাই তোমায় ভালোবেসেছি,
ভালোবাসারও একক কারণ অকারণ ,
সাধারণ ব্যাকরণ থাকে ,
প্রণয় হোক না হোক, ভালোবাসাটা হোক।
যে ছেলের সকাল হতো দুপুর ১২ টায়,
সে ছেলে কি-না শীতের কাঁপুনি ঝরা ঠাণ্ডায়,
পথে পথে পায়চারি করতো ,
লুকিয়ে থাকতো গাছের আড়ালে ,
শুধু নিপু'র মুগ্ধতায় মুগ্ধ হতে।
হ্যাঁ, ওর বান্ধবীর কাছ থেকে জানতে পারলাম ,
ঐ রঙিন ছাতার মালিকের নাম নিপু !!
সে যাইহোক ,
আমার বিশেষ কোনো অভাব পূরণ করতে হবে না,
তবে অগোছালো এই বালকটির
ভালোবাসার চাহিদা টা অপূরণ রেখো না নিপু।
মনের ঠিকানা টা পরিবর্তন হলে ,
চিঠির খাম খুলে দেখো ,
তোমার মতো করে আমায় একটু ভালোবেসো...!!
*************************
""ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা রইলো""
*************************
রচনাকাল - ১৩ই ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ইং