হে মানুষ...!!!!
তোমাদের জন্য আমি এক মৃত্যদূতের মতো
আশেপাশে থেকেই চলেছি।
কোন এক রক্ত সাগরে আমি দাঁড়িয়ে আছি
শুধু তোমাদেরই অপেক্ষায়।
এসব আমি দেখাতে চেয়ে
নিজের অস্তিত্বের মান মর্যদা ভুলেই গিয়েছি।
জানা অজানা কীটপতঙ্গের মতোই
তোমরা দূর বহুদূরে তোমাদের আত্মার অভয়ারণ্যে
ডুবেছো।
নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারছো না
কোথায় ডুব দিয়ে আটকে আছো।
হাসপাতালে জরুরি বিভাগের প্রয়োজনীয়তা
কতটুকু উপলব্ধি করতে পেরেছো.?
তোমাদের শেষ নিশ্বাস বাঁচাতে শ্বাসরুদ্ধকর
চেষ্টায় নিমজ্জিত থাকে সাদা এপ্রন পড়ে
থাকা ডাক্তার আর নার্স গুলো।
তাদের মাহাত্ম্য বিফলে যায় তখনি,
যখন অন্তিম মুহুর্তেই তোমাদের তুলে দেয়া হয়
এম্বুলেন্সের সাইরেন বাজানো গাড়ি তে।
শুনতে কি পাও সেই সাইরেনের
কান্নার আওয়াজ.?
কিভাবে শুনবে শুনি
এক অন্ধকার মটির ঘরে নিজের
নির্বাসন গড়তে হবে যে তোমাকে।
নিজেকে কখনো প্রশ্ন করেছে.?
কখনো কি নিজের দিকে তাকিয়েছো.?
সেই প্রবল সাহস তোমাদের ছিল.?
ছিল না,, ছিল না,,
ছিল না বলেই অন্যদের অনুকরণ করেই
জীবনটা কাটিয়ে বেড়াচ্ছো।
যাদেরকে মন এবং মুকুটে তোমরা ধারণ করে আছো।
যাদের হাতে তোমাদের নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ দিয়েছো।
তাদের অপব্যবহারের পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছো
অনন্তকাল ধরে।
লক্ষ্য নিয়ে যে জীবন গড়ার কথা ছিল
সেই জীবন টা কে পঁচালে লক্ষ্যহীন ভাবে।
নির্বাক নুড়িপাথর গুলো তাদের হিমশীতল
জীবনকে চুপসে চুপসে চুপচাপ
ভেসে দিলো একাকী মৃত ঝর্না ধারায়।
মানুষ তোমরা তোমাদের জীবনকে
যেভাবে জলাঞ্জলী দিয়েছো
সেটা কোনভাবেই তোমাদের কাছে নেই।
মানুষ তোমরা তোমাদের কে
এমন কিছুর জন্যে ধ্বংসযজ্ঞের
নিজেদের কে পোড়ালে,
যেটা কোনদিনই সৃষ্টি হয় নি।
খুব হাসি পাই, হাসতে হাসতে বলতে চাই
শিরা উপশিরায় তোমাদের রক্তপ্রবাহে
অবরোধ চলছে বিষে বিষক্রিয়ায়।
যে আইন কানুন অনুযায়ী শাস্তি দিতে চাও
পৃথিবীর ঘাতকদের কে।
সেই আইনের বেড়াজালে বন্দী হয়ে
নিজেরাই নিজেদের কে দূরের কথা,
এখনো পর্যন্ত তোমাদের ছায়া কেও
মুক্তি দিতে পারছো না হে মানুষ জাতি।
*******************
(৩য় খন্ড চলমান)
৪ঠা অক্টোবর ২০২১।