প্রিয়তমেষু চিঠি,
শুরুতেই শুভেচ্ছা না জানালে নয়।
এই হৃদয় হরণকারী তোমাকে
বর্ষার হৃদয়ে ফোটা কদমের
সহস্র শুভেচ্ছা দিলো।
আরো দিলাম আমার রক্তাক্ত
পরিপূর্ণতা না পাওয়া ভালোবাসা
তোমার মনবিলাশীতে।
পরকথা,
তুমি কেমন আছো এই সুন্দর শরতের
স্নিগ্ধ শিউলি ফুলের সুবাসে,
তা আর জানতে চাইবো না।
নীলাকাশের সাদা মেঘে কতটা আর ভেসে বেড়াচ্ছো,
জানতে চাইবো না।
খোলা ছাদে পূর্ণিমা চাঁদের আলোতে
কোন সুদর্শেনের নয়নে নয়নে
নিজেকে হারাচ্ছো জানতে চাইবো না।
বরং এই ধরিত্রীর বুকে কচি কচি
সবুজ ঘাসের শিশির ভেজায়
যার জন্য বাসর রচিলে
তার বুকে মাথা নোয়ানোর
সুখের কথা আর জানতে চাইবো না।
যদি কখনো মন চাই সূদুর কোন
বিলাসবহুল প্রমোদ তরীতে
একান্ত রাত্রিযাপন কোরো,
সময় টা যদি হয় মধুচন্দ্রিমার ক্ষণ
তবে তো কোন কথায় নেই.!!!!
সিঁদুর রাঙ্গা আলতা পরা নূপুর পায়ে
তোমায় অসম্ভব সুন্দর লাগে,
সেই রুমঝুম নূপুরের ধ্বনি
তার কানেই যেন পৌঁছায়
সেভাবে তার হৃদয়ে হেঁটো।
লাল লিপস্টিকে ঠোঁট দুটো
এমন ভাবে রাঙিয়ে তুলবে
যেন অন্য কোন রঙিন রঙে
তার চোখ না যায়।
ও হ্যাঁ বলতে মনে ছিলো না..!!
তুমি ঘোমটা দিও না,
শাড়ির আঁচল ছেড়ে দিও,
ঘূর্ণিত চক্ষুতে তোমার সৌন্দর্য
যেন তার নজরে পড়ে,
তেমন ভাবে উম্মুক্ত রেখো।
এই জানতে না চাওয়ার মধ্যে
অনেককিছুই যে জানার অভাব রয়ে গেলো।
তোমায় আর কি বা জানাবো-
অতল সলিলে ডুবে পাই না কূলকিনারা
শূণ্যতাটা তৈরি হয়েছে তোমায় ভালোবেসে,
হৃদয়ের দেয়ালে ফাটলের আঁকাবাঁকা দাগ
তুমি ভালো থেকো বাকি জীবনটা হেসে হেসে।
ইতি
ডাকপিয়ন
**************************
১৮ই নভেম্বর ২০২১ইং