সকালটা আজ খুব মনোমুগ্ধকর হতো
যদি তুমি থাকতে কাছে,
এই বেলা আর সারাবেলা
তুমি নেই বলে খোঁজও নেওয়া হয় না আর,
হয়তো উপরওয়ালা নেয় তোমার খোঁজ।
সেদিন হঠাৎ আচমকা ধমকা হাওয়ার মতোই
ভালোবাসা এসেছিলো আমার মনের দুয়ারে।
এসে বলেছিলো, চলো দু'চোখ যেখানে যায়
সেখানে হারিয়ে যায় দুজনে,
হুমম আজ একেবারে হারিয়ে গেলাম,
হারিয়ে গেলাম এক অন্য জগতে।
গুটিকয়েক কাছের ক'জনের
হয়তোবা মনে পড়তে পারে আমাকে,
তারাও ভুল বসত ভুল করে কখন যে ভুলে যায়,
সেই নিশ্চয়তা অদৃশ্যজ্ঞানীও দিতে পারবে
বলে মনে হয় না আমার।
অতিবাহিত হওয়া দিনের সাথে আমিও মুড়িয়ে
যাবো নিস্তব্ধ নিরালায়,
সবাই ভুলে যায়, সবটা ভুলে যায়।
সবাই সবকিছু-না-কিছু মনে রাখে না,
এটাই স্বাভাবিক নিয়মের অন্তর্ভুক্ত।
তবে সবাই ভুলে গেলেও,
আমি মনে থাকবো আমার মনে।
আমি মনে থাকবো শুধু তোমারি জন্য
শুধু তোমাকে মনে রাখবো তোমারি জন্য।
তখন হয়তো তুমি থাকবে না,
থাকবে তোমার কাছে শুধু তোমার স্মৃতি,
তুমি তখন একলা বাঁচবে।
একা হাঁটতে হাঁটতে তুমি ভাববে
আমি কি একা.?
এই হৃদয়ে প্রবেশ করতে কেউ কি নেই.?
ফাঁকা রাস্তায় পড়ে থাকা মানুষ গুলোর
সাথে কথাও বলতে গেলেও,
তুমি তখন একলা চাপা অনুভব কোরো না,
আমি ঠিকই কিন্তু সেখানে আছি,
হাসতে হাসতে মরার মতো
এই প্রাণী,এখনো তোমায় নিয়ে বাঁচি।
তোমার অভিযোগ অনুযোগ আদালত
যেদিন খারিজ করবে,
সেদিন জামিন মঞ্জুর হওয়ার সাথে সাথেই
কলমের ঠোঁটের কালি শেষ না হওয়া অবধি,
লিখো তুমি আমায় নীল চিঠির খামে,
লিখে যেও কিন্তু, কারাগারে থাকাকালীন
জমে রেখেছো অনেক কথা হয়তো,
আসলে জমাট বাঁধা বরফও গলে যায়
প্রতি দিন প্রতি প্রহরে।
ঘৃণাভরা বেঁধে রাখা বইগুলো যখন
পড়বে চোখে, হাতে নিয়ো ধুলোপড়া বইগুলো,
কখন খুলে কে-বা দেখায়,
আমার দেওয়া ময়ূরপুচ্ছ, স্বযত্নে থাকবে সেথায়।
গোলাপ পছন্দ না বলে তোমায় দিতাম কৃষ্ণচূঁড়া,
মাঝেসাঝে দেওয়া হতো কাঞ্চন মালা,
চোখ মেলে দ্যাখো পাপড়ি গুলো,
শুকিয়ে মরে আছে,
তোমার ডায়েরির প্রতিটি পাতার ভাঁজে।
সত্যি ভালোবেসেছি,
তবে সেই ভালোবাসার অজুহাতে
কখনো কোন বিশেষ মুহুর্ত চায় নি আমি।
চেয়েছিলাম শুধু বসন্তদিনের মতোন
একগুচ্ছ ভালোবাসা, চেয়েছিলাম শুধু তোমায়,
চেয়েছিলাম শুধু তোমার মাতালকরা স্পর্শ
হ্যাঁ, আমি শুধু চেয়েছি তোমায়।
আমার বাধ্য করা ঐ লাল রঙের জামা টা
পড়বে যখন বিশেষ দিনে,দেখবো আমি এক পলকে
তোমার উপস্থিতির ক্ষণিকের ক্ষণে।
ভালো অবশ্যই বেসেছি আমি,
তবুও তোমার ভালোবাসা পেতে হয়েছি ব্যর্থ।
সুখের ভোরবেলায় ঘুমন্ত চোখে
কাছে যখন তুমি টেনে নিবে,
হালকা হালকা শীতের ঠান্ডায়,
জড়িয়ে রেখো একাধিক বার এই আমায়,
চায়ের কাপে চুমু দিয়ো তুমি
সহস্র বার আমি চুমু খাবো,
তোমার ঐ গোলাপি রাঙা ঠোঁটে।
মন যেহেতু আছে, খারাপ না হয়ে থাকবে না,
এমন খারাপ সময়ে তুমি কবিতা কিংবা গান লিখো,
তোমার লেখার পঙক্তি ও সুরের মূর্ছনায়
থাকবো আমি তাল লয়ে অথবা আবৃত্তিতে।
পুবাকাশের পুবাল হাওয়ায়
মিশে যাবো তোমার গায়ে,
রোজ বিকেলে ঘুমাবো আমি,
তোমার প্রসস্থ বিস্তীর্ণ বুকে।
দূর দূরান্তে দূরভিলাষী হয়ে
ছুঁয়ে যাবে আমায় তুমি,
দু’জোড়া উষ্ণ বাহুডোরে থাকবো
শুধু তুমি আর আমি।
এই পৃথিবীতে পরিপূরক ছিলাম আমরা দুজন
যদি কখনো হারিয়ে ফেলো গন্তব্যস্থল,
পথের প্রান্তে তাকিয়ে থেকো দূর আকাশে,
দেখবে তুমি তারা হয়ে দাঁড়িয়ে আছি
তোমার অপেক্ষায়, শুধু তোমার অপেক্ষায়।
ধরতে পারি নি বলেই আজ তুমি
আছো উপসংহারে,
সূচনা টা এতো রঙিন মলাটে বাঁধানো
শোভা পেলো না।
সম্ভববত খুব একটা মনে পড়বে না আমায়,
যদি ভুল বসত মনে পড়ে এই ব্যর্থ মানুষের কথা,
হৃদয়ের বাঁ পাশে ছুয়ে দেখো,
পাবে তুমি আমার স্নিগ্ধ পরশের ব্যাথা।
*****!!!!!!*****!!!!!!*****!!
২৫শে ফেব্রুয়ারী ২০২২ইং