শেষ বিকেলে ঘর পালানো রোদ
প্রলম্বিত ছায়ার সাথে সখ্যতা গড়ে
সন্ধ্যার আঁধারে মিলায় সব চিহ্ন তার...
রাতের পাঁজরে শব্দে ভাঙ্গে কান্নার ঢেউ
প্রিয় সুর হারানো বেদনার
অনুক্ত অনুশাসনের ঘেরা বৃত্ত ভাঙে
প্রশান্তির স্বপ্ন ব্যঞ্জনা- বিশ্বাস খুঁজে ফেরে
নিঃশ্বাস আর অরিত্রীর বসতী
পুড়ে গ্যাছে প্রহর...
তৃষিত অস্তাচলের লাল আবীরে
ঢেকে গ্যাছে উদয়-অস্তের সম্ভ্রম
রোদের ডগায় উদোম হয় দ্বিধাহীন আজ
অচেনা স্পর্শে ন্যুয়ে পড়া লজ্জাবতীর পাতা
এখন পৌঢ় বিকেল ছেড়ে গেছে
বন্ধন ইতিবৃত্ত আর শিল্পকলার গীতিনাট্য
লোক-গাঁথা আর প্রজন্মে ফেরার বাউল অন্তরা
অসম্ভব অবহেলা দীর্ঘশ্বাসে অন্য সংখ্যার অনুরক্ত বিলাসী আল্পনায়
সুখ কামনার উদারতা নাকি জীবন থেকে পালানো
দর্শন যুক্তির অমিমাংসিত দীর্ঘসুত্রিতা এড়িয়ে বলে ওঠা সুখি হও তবে চন্দ্রিমায়
আর ভূল হলে ফিরে এসো ঠোঁটের কাপুনিতে
বুকের স্নিগ্ধ অনুভবে কাছে নিও...
উঠোনে জন্মেছে বুনোঘাস
কুয়াশা শরৎ পার করেছে যুগ ছুঁই ছুঁই শিশির সকালে
প্রতিক্ষার পা-চিহ্ন আঁকেনি কালীক প্রান্তর
তবু নিয়ত প্রত্যাশা .... আরো অল্প কিছু কাল
বিস্তৃর্ণ যোজন জুড়ে ঘোরে প্রত্যাশা
তারপর বিলীন প্রায় ক্লান্ত কালপুরুষের মাঠ
বাতাস ঢেওয়ের বিষন্ন প্রলাপে..