শেষবার চিঠি লিখেছে পদ্যেরা
বেনামি সংলাপে
উদ্বাস্ত ঠিকানায়
ধ্রুপদি দুপুরের মানচিত্র এঁকে ।
সে চিঠি এখন ঘুরছে,
কাব্যের মাঠ হোয়ে
কয়োটি ডাকা পেরুর প্রান্তরে।
সেবার যখন ফুঁসে উঠেছিল নীলগীরি
মানবতা গুল্লায় গেলো বলে,
তার কদিন আগেই সমুদ্রের চরে মুখ থুবড়ে পড়েছিল শিশুটি।
সমুদ্রর জল গিলে খেয়েছিল তার জীবন।
আর তার উদভ্রান্ত পিতা ঠিকানা হাতড়ে দিশেহারা পৃথিবীর পথে।
অক্ষ রেখায় মড়ক লেগেছিল বলে
কতো চিৎকার চেচামেচি।
তার শব্দ পৌছেছিল চন্দ্রালোকে,
তাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চন্দ্র
এবার দৃশ্যমানতায় বড়ো দেখিয়ে জোছনার প্রলেপে মুড়ে দেবে সব ...স...অ...ব।
পৃথিবিও কম যায়না, মুখিয়ে আছে
ছায়া দিয়ে গিলে খাবে বোলে।
তারপর সুযোগ পেলেই উগরে দেবে
গলগল করে বেগুনী রে...
ওদিকেই হেটে যায় মেঘের মেয়ে,
চোখে জল নেই,খটখটে ।
এতো যে আত্মাহুতি ..দলে দলে কৃষকের,
কাদবার কেউ নেই,
আর কাদলেও চোখে জল নেই-মায়া কান্না।
পদ্যবাজি কোরে বোধের ওক! টানা কবি!
কিচ্ছু হবেনা -
মানবিক ঠিকানা নেই বলে,
গলা খাকারী দিয়ে চিঠি উড়ে বেড়ায়
ঠোক্কর খেয়ে পাড়ায় পাড়ায়।।