তুমি মহাশক্তি, তুমি সর্ব সৃষ্টির উৎস।
তুমি মহাকাল, তুমিই অবিনশ্বর উৎস।

তুমিই বৃহৎ কিছু, তুমিই সবকিছু,
তুমিই সৃষ্টিকর্তা।

তুমি সব করেছো সৃষ্টি, তুমিই সেই মহান।
ভালোবাসা সৃষ্টির উৎস তুমি,
তবে কেনো খন্ডন যাওয়ার উৎসও হও তুমি!

তুমিতো সৃষ্টির সর্ব বিষয়ে জ্ঞাত,
তবে কেনো, তোমার এই ক্ষুদ্র সৃষ্টির কষ্ট বোঝ নাহ।

অর্ধ আত্মা যারে বানিয়েছিলে, তারে কেনো নিয়ে গেলে!?
তুমিতো ঈশ্বর তবে কেনো বিচ্ছেদের কষ্ট বোঝ নাহ।
আমিতো জিজ্ঞেস করে আসিনি ধরিত্রীতে,
তুমিই তো পাঠিয়েছিলে,তুমিই তো নিয়ে যাবে প্রয়োজনীয়তায় পুনরায়।

তুমিতো ঈশ্বর, তবে কেনো একটি পাঁজরের দুটো মানুষ দুটো পথে বিচ্ছেদী!
এত্তো কাছের দুজন মানুষ কেনো কক্ষপথের দুই প্রান্তে।
কক্ষপথের দুই প্রান্তেই যদি রেখে দেওয়া উদ্দেশ্য,
তবে মিলনের উদ্দেশ্য ছিলো কি!

তুমি ঈশ্বর,
তুমি একা, তোমাকে করেনি কেউ সৃষ্টি!
একা থেকেও,
তুমি কেনো এই ক্ষুদ্র সৃষ্টির একাকিত্বের কষ্ট বোঝ নাহ।

কত্তো শত রজনীর প্রার্থনা, কত্তো শত আকুতি!
শুধু প্রিয়জন ফিরে পাওয়ার সন্তুষ্টি।
তবু কি তোমার দৃষ্টদরজা খুলে যায়না।

ধরিত্রীতে যদি না ই পেলাম, তবে এতোকাল একাকিত্ব!
সে কি নরক যন্ত্রণা সমতূল্য নয়।
স্বর্গে আমি তাকে যদিও পাই, তবে লক্ষাদিক বছর মাটিচাপা পড়ে থাকা একাকীত্বর সঙ্গী কে!

তুমিতো ঈশ্বর,
তবে কেনো এই ক্ষুদ্র সৃষ্টির কষ্ট বোঝনা,
তুমিতো ঈশ্বর,
তবে কেনো একাকীত্বের কষ্ট বোঝ নাহ!

বন্দনা,
২১/০৪/২০১৭
অনিক মজুমদার