মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে আয়োজন করে একটা হাইড্রোজেন বোমা বানিয়ে নিই।
হুম, আমার সন্ধি চলছে পুতিনের সাথে,
আলোচনা হচ্ছে কিম জং উনের সাথে।
ওই বোমাটা আমি তোমার বহুতল বাড়িটাতেই নিক্ষেপ করবো।
গুড়িয়ে দিবো সব, ধ্বংস করে দিবো সব, চুরমার করে দিবো সবই।
ওই জ্বলজ্বল করে জ্বলতে থাকা জ্বলন্ত অগ্নিশিখা থেকেই আমি নিকোটিন পোড়াবো।
কতোগুলো দিবস, রজনী কলিজাটা জ্বলছে,
কতগুলো বছর ভালো নেই আমি।
ভালোবাসার মানুষের সবকিছু মেনে নেয়া যায়।
তনু নিয়ে অন্য কারও সাথে ফ্যান্টাসি!
কিভাবে মেনে নিই গো?
যদিও শরীরটাতো আমার নয়, তোমার ই।
আমার আত্মাটাতো মিশে আছে সেটাতে,
এখনো ডুবে আছি তোমার ওই ত্রিশকোটি কোষে।
আমারতো তবুও কষ্ট হয়,
তোমার কি বিবেক বাঁধা দেয়না।
কষ্ট হয়না!?
তোমার প্রস্থানের প্রথম দিনটা থেকেই,
ওই দিনটাতেইতো অনেক ঘটা করেই শরীরের বৈধতা নিয়ে নিয়েছিলো অন্যজন।
ফুলসজ্জা নামক রাতটা থেকেইতো আমি মৃত,
আমি খুব করে মৃত।
সেই তখন থেকেইতো প্রতিদিন মরে যাই আমি।
প্রতিটি রাতেইতো তুমি তনুর নানানরকম মেকানিজম নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাও।
ব্যস্ত না হলেওতো বাধ্য হতে হয়।
আমার কলিজাটাতো ছিঁড়ে যায়।
মস্তিষ্কের নিউরন যুদ্ধ ঘোষণা করে আমারই বিপক্ষে।
তোমার বিবেক কি বাধাঁ দেয়না! নাকি কামনা সুখে সব ভুলে থাকো!?
হঠাৎ করে তুমি ছাও ফোটায়, যা করেছো তা ভালোই।
কিন্তু এই প্রমাণ সমেত তোমার কথা কিভাবে আঘাত হানে তুমি কি আদৌ জানো!
আমার কলিজাটা ছিঁড়ে যায়।
খুব করে ছিঁড়ে যায়।
আমি সত্যি একটা বোমা বানাবো,
ওই হাইড্রোজেন বোমা তোমার ঘরেই নিক্ষেপ করবো।
পিশাচের মতো তোমার মৃত্যু উপভোগ করবো।
অট্রহাঁসিতে প্রকম্পিত করবো বিশ্বভূমি।
ওই অগ্নিতেই মারিজুয়ানা জ্বালাবো।
পুড়ে যাওয়া কলিজাটা আরো জ্বালাবো।
আমি মরে যাবো।
খুব করে মরে যাবো।
পিশাচ
১৪/১০/২০১৭
রাত তিনটা