দুমুঠো অন্নের কসম,
অগ্রজ প্রতিজন্মে তোর ওই বক্ষপৃষ্ঠের বস্ত্রহনন শুধুমাত্র আমিই করিবো।
ড্যাবড্যাব করিয়া তোর অক্ষিযুগলে আমার নেত্রদ্বয় রেখে চাহিয়া থাকিবো যুগান্তর।
জয় করিবো তোর তরে সিন্ধু,
সেথায় মহাপ্রলয় আঘাতপ্রাপ্ত, ছাড় পাবেনা এক বিন্ধু।
শুধু তোরই প্রশ্নে।
তোকে কেউ বাটোয়ারা দাবি নিলে,
শ্বেতবর্ণ চক্ষুদ্বয় পরিণত রক্তবর্ণে।
বিলাসিতায় পান্তা ইলিশের সকাল,
দারিদ্র্যে তবে দুইখানা শুকনো মরিচের সাথে দুজন মিলে পান্তা গিলবো।
তরে কিন্তু আমিই খাওয়াইয়া দিমু।
কসম কইরা কইলাম,
তোরে পোয়াতি বানামু।
বেদনার্ত তুই যখন কোঁকড়াবি, তোরে কোলে নিয়া ঘুম পাড়ামু।
তুই আমারে ডাইক্কা কইবি কই গো?
আমার পেটে তেল মালিশ কইর্যা দেও।
তোর লগে ঝগড়া করমু,
পোলা অইবো না মাইয়া অইবো ওইডা নিয়া তর্কে পড়ুম।
থাপ্পড় দিয়া তোর ওই নাদুসনুদুস বদনখানি রক্তবর্ণ মলিন করমু।
কাছে টাইন্যা তর কপালে আবার চুমু দিমু,
অনেক বেশি সোহাগ করমু।
তোরে আমি দেবী মানি,
তাই আমি এইডা বুঝি তুই এহন দেবতার লগে সঙ্গমে মগ্ন।
আমি তরে পাইনাই,
ঈশ্বর তরে নিয়া গেসে এডাও আমি মাইন্যা চলি।