বড্ড বেশি ভালোবাসি তোমায় লক্ষ্মীটি,
ল্যাম্পোস্টের নিচে স্তব্ধ হয়ে বসে থাকা ওই বদ্ধ উন্মাদের মতো ভালোবাসি তোমায়।
উত্তাল তরঙ্গন্যয় ইন্দ্রালয়ের বাসনা যেমন বাসা বাঁধে প্রতিটি ধার্মিকের অন্তরে।
ঠিক ততটুকুনও তীব্রতা নিয়েও এই তুমিটাকেই ভালোবাসি আমি।
জ্বরের তীব্রতা নিয়ে আমি যখন কাঁপছি, মরনব্যাধি যখন আমার ভেতরটা খেয়ে ফেলছে অতি যত্ন নিয়ে তখনও নিজেকে ভুলে থেকে তোমাকেই ভালোবাসি।
এই তুমিটাকেই বড্ড বেশি ভালোবাসি।
রক্তবর্ণ মিহির যখন আমার বাহু জুড়ে ঢলে পড়ে
তোমাকে আমি ভার্যা ভেবে দূরে ঠেলে দিই অবনীর সব ব্যস্ততা।
মনিকোঠায় ঠাঁই করে দিই এই তোমাকেই।
হাজার ব্যস্ততা, ক্লান্তি শেষে যখন আমি হেলে পড়ি,
মস্তিষ্ক জুড়ে তুমিই বাসা বাঁধো।
আমার মন খারাপের রাতগুলো রঙিন ফ্রেমে আটকে পড়া কৃত্রিম তোমাকে সম্মুখে রেখে কাটিয়ে দিই।
আবাস্থল গেড়ে বসে আছো তুমি এই বুকের মধ্যখানটাতেই।
তাই এই তুমিটাকেই বড্ড বেশি ভালোবাসি।
তুমি আমার ভিনদেশি তারা নও,
হাত বাড়ালেই তোমাকে ছুতে পাইনা।
নেত্রদ্বয় বিশ্রামেই তোমাকে অনুভব করে নিতে পারি আমি সহসায়।
তাই একলা থাকা রাতগুলোও এই তুমিটাকে নিয়েই কেটে যায়।
শুধুই ভালোবাসা নও,
শাসন, বারণ, অভিমান তোমাকে ঘিরেই।
তাই এই তুমিটাকেই বড্ড বেশি ভালোবাসি।
তুমিই আমার প্রান্ত বিন্দু, তুমিই আমার শেষাংশ।
বার বার চলে যেতে চেয়েও তাই তোমাতেই ফিরে আসা।
একটুখানি প্রশান্তি তোমাকে আঁকড়ে ধরেই।
সর্বস্ব ছুঁড়ে ফেলে তাই শুধু তোমাকেই বিরক্ত করা মগ্ন এক সাইকো আমি।
ভালোবাসার এই তীব্রতা কি তুমি বোঝ নাহ!?
প্রচণ্ড ভালোবাসি তো এই তুমিটাকেই।
তোমার একটুখানি অভিমান, তোমার ওই বিরক্তিমাখা মুখ আমাকে নিঃশেষ করে দেয়।
কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে আমার এই অন্তরখানা।
বড্ড বেশি ভালোবাসি তোমায় লক্ষ্মীটি তাই এমন করি।
তবুও,
বার বার ফিরে আসবো আমি এই তুমিটাকে ভালোবাসতে।
তোমাকে নিয়েই আমার ভালো থাকা,তোমাকে ঘিরেই তো আমার মন্দ থাকা।
লক্ষ্মীটি,
১৩/০৪/২০১৮
অনিক মজুমদার