এই যে শুনছো,
তোমাকে বলছি, হ্যাঁ, তোমাকেই বলছি।
তোমাকে ভালোবাসার কোন উপযুক্ত কারণ প্রয়োজন ছিলো?
নাহ ছিলোনা।
তুমি এমন রুপবতী যেন স্বর্গ থেকে নেমে আসা এক অপ্সরী।
ভালোবাসা কি তবে রুপ উপভোগ্যের বাধ্যবাধকতা! তবে কি সৌন্দর্যরূপই ভালোবাসার সংজ্ঞা হবার ব্রত ছিলো!
নাহ ছিলোনা।
ভালোবাসি, হুম ভালোবাসি। কোন বেদবিচার ছাড়াই তোমাকে ভালোবাসি সর্বস্ব উজাড় করেই।
তোমার আগমন পূর্ব অন্য সৃষ্টিও এই সর্বস্বটুকুর মালিকানা পেয়ে যেতো।
এই যে শুনছো,
ফেলে এসেছি শতবর্ষ অতীত। ব্যর্থতাপূর্ণ রঙ্গমঞ্চ।
ফেলে এসেছি সেই অবিনশ্বর ভালোবাসায় জড়ানো রমণীদের।
কতোশত গ্লানিপূর্ণ স্বপ্ন।
ফেলে এসেছি অতীতস্মৃতি, অতীতে নিজহস্তে সাজিয়ে রাখা ভবিষ্যৎ। যা এখন বর্তমান।
কালক্ষেপণের মঞ্চে আমি পরাজিত।
আমি বিষণ্ণতা নিয়ে কড়া নেড়ে গিয়েছি প্রতিনিয়ত।
এপারওপার ঘুরে বেড়িয়েছি এক সিন্ধু ভালোবাসা সওদা করবো বলে।
আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছি প্রতিটি সৃষ্টি, আমাকে ক্লান্ত করে দিয়েছে তারা।
তবে আমি ফেলে এসেছি, সবকিছু ছুঁড়ে ফেলেছি শুধু তোমাকে হারিয়ে যাবো বলে।
তুমি ফিরিয়ে দিওনা।
ফেলে এসেছি এক সমুদ্রজল সম বিষাদ, একপৃথিবী সম তীব্রতর উচ্ছ্বাস।
তবে তোমাকে ফেলে রেখে যেতে আমি অপারগ।
এই যে শুনছো,
হ্যাঁ, তোমাকেই বলছি।
তোমাতে ডুব দিয়েই আমি ভুলে যেতে চাই সব ক্লান্তিমাখা দিবস রজনী।
তোমাতে ডুবেই আমি বিসর্জন দিতে চলছি চাপা অার্তনাদ।
তোমাকে দিয়েই আমি প্রতিটি নিউরন জুড়ে থাকা দেবীকে স্থলাভিষিক্ত করবো।
তোমার বাহুডোরে আবাস্থল গড়ে পরে রইতে চাই আমি সেই অবুঝ শিশুটির মতো।
শাসন, বারণ, নির্দেশ মাথা পেতে নিতে চাই বাধ্যগত সন্তানের মতো।
হ্যাঁ, তোমাকে আমি সর্বস্ব উজাড় করে ভালোবাসি।
এই তুমিটাকেই আমি ভালোবাসি।
এই যে শুনছো,
হ্যাঁ, এই তুমিটাকেই বলছি।
ভীত হয়ে হয়ে আমি বড্ড ক্লান্ত। ভয় এখন আর বাসা বাঁধেনি এই চওড়া বক্ষদেশে।
প্রস্থান আর আমাকে ভাবিয়ে তুলবেনা, চুরমার করে দিবেনা আমার অনুভূতিকে।
সহ্যকরণ উপকরণ বাসা বেধেছে আমার কলিজায়।
তোমাকে আমি ভালোবাসি, প্রস্থান করে নিলেও তোমাকে আমি ভালোবাসি।
আমি বিনিময় চাইনা, আমি ফেরত চাইনা কোনকিছুই। তোমার পক্ষীয় এক চিলতে ফেরত পাওয়া প্রেমে আমি ধন্য।
হ্যাঁ, আমি ধন্য পুনরায়।
থেকে যেও তুমি, আমাতেই মিশে থেকে যেও। তোমার তরেই সপে দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করে দিবো প্রেমের সংজ্ঞা।
স্বীকারোক্তি
১৮/০২/২০১৮
অনিক মজুমদার