কতকিছুই তো বলতে ইচ্ছে করে
বলা হয়ে উঠে না
কিংবা লেখা হয়ে ওঠে না।
সহসা সচকিত অনুভূতির বিনাশ।
অনুভূতির বিনাশ হয় ভালোবাসায়
কিংবা নির্মল চাহনিতে
জগৎ যে কত বিচিত্র!
মর্মাহত অনুভূতির কত আবিস্কার!
দিগভ্রান্ত মস্তিষ্কের মুক্তির আকুতি!
মুক্তির যে কত রকমফের!
মুক্তি কি কেউ কি কখনও পেয়েছে?
নাকি সে মুক্তির সংজ্ঞাটাই ভুল জেনেছে!
কিংবা বোঝেনি সে মুক্তি কি!
আচ্ছা মুক্ত থাকলে কি তবে মাঝে মাঝে
বন্দী হতে ইচ্ছে করত?
কি জানি!
সাগ্রহে তার জীবনের সঞ্চয় বাড়িয়ে নিতে ইচ্ছে করে
সে একই সাথে অনেক কিছু চায়।
কিছু কিছু পায়ও।
যা পায় না তার জন্য সে কখনও নির্বাক হয়,
কখনও অপেক্ষা করে।
তবে তার জীবনের বেশিরভাগ অজানাই রয়ে যায়!
জানা-অজানাই যে জীবন তা কিছুটা বোঝে সে!
তবুও মস্তিষ্কের বিড়ম্বনায় পড়ে সে তাড়িত হয়!
জগতের স্বাদ আহ্লাদ সে পেতে চায়!
পায়না তা নয়!
সে পায় কিছু সময় অদ্ভুত রকমের আনন্দ।
অভিনন্দন।
সাগরের ঢেউয়ের কথা মনে পড়ে তার!
ঢেউ আছড়ে পড়ে তার হৃদয়কে বিচলিত করে বার বার
নিয়মের বালাই সে মানতে চায় না।
কবিতাও নাকি নিয়ম মেনে লিখতে হবে?
সব শৃঙ্খল ভেঙে সে মুক্তি চায়!
মুক্ত করতে চায়।
হতবাক কিংবা বিহ্বলতার করুণ সুর
তার হৃদয়কে আশাহত করে।
তারপর তার মহাকাব্য ব্যর্থতাগুলিকে ফুটিয়ে তুলতে চায়।
সে শক্তি কি তার আছে?
সে এক নির্বাক সৈনিক
কতবার যে পরাজিত হয়েছে!
তার স্মৃতিতে আর ধরে না!
বিদ্রোহে সে কখনও জয়ী হয় না।
বরং সে লজ্জিত হয়।
দ্বিতীয়বার যেন এমন ভুল তার না হয়!
আবার তার জীবনের জন্য করুণা হয়।
যন্ত্রণা হয়!
যুগ যন্ত্রণা!
আহত হৃদয়কে বয়ে বেড়ানোর নির্মম শাস্তি!
যখনই ইচ্ছে হবে-
পিঠে-মনে চাবুক ছুড়ে মারা হবে তার।
অপরাধ -এ যে মহাপরাধ!
অতীতে ফিরে তাকালে তার শাস্তি বরং কমই মনে হয়!
তবুও সে নিষ্পাপ মনে প্রত্যাশা করে -
প্রাচুর্যতার পরশ যেন তার মন ও জীবন ছুঁয়ে যায়।
যেন তার জীবন সৌন্দর্যে সুশোভিত হয়।
ধন-দৌলতে পরিপূর্ণ হয়!
বিলেত-আমেরিকা যেন তার পায়ের তলায় ঠাই নেয়।
তার জীবন যেন আনন্দময় হয়।