তখন আর শুষ্ক বাগানে পানি দিতে ইচ্ছে করে না,
বিকৃত ফুলের দিকে তাকিয়ে থেকে
আর ভাবনার জগতের বিলাসীটাকে প্রস্রয় দিতে ইচ্ছে করে না।
যখন তাকিয়ে দেখি ভবিষ্যতের অলি গলি সব
আগুনে পোড়া।
প্রাচীর বেয়ে জেগে ওঠছে ভয়ানক সব নকশা।
কটু গন্ধময় বাতাস গ্রাস করে চলছে দাড়িয়ে থাকা সব বৃক্ষ।
অস্বাস্থ্যকর ডাল-পালা,
ধুলোর ওপর চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা শুষ্ক পাতা ছাড়া
আর বিশেষ কিছু চোখে পরে না।
আর তাইতো,
সবার কাছে পরাস্থ হয়ে,নিরুপায়ের মত এবার
বাতাসের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি।
কিন্তু এখনো তার নাগাল পাইনি।
না পেলে কি হবে,
মনে মনে তাকে গলাটিপে হত্যা করেছি অগনিতবার।
একথা জেনে থাকলে,সেও আমার সাথে তাই করেছে,
কিন্ত অক্সিজেনের সহজ লভ্যতার কারনে
আমি এখনো বেঁচে আছি।
এ বেঁচে থাকার লাভ কি বল,
যখন হতাশার আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে
তোমাকে আত্মহননের পথ বেছে নিতে হয়।
কুকুরের মত ময়লা কুড়ানোর প্রতিযোগিতায় নামতে হয়
আমার মত মানুষের।
রাজপথের পিচে মিশে যায়
একের পর এক সতেজ দেহ।
রুগ্ন শিশু অনিবার্য মৃত্যুর দুয়ারে দাড়িয়ে
আমার দিকে তাকিয়ে হাত পাতে।
তাকিয়ে ছাড়া আমার কিছুই করার থাকে না ?