কবিতা গুলো সত্যি বাস্তবের এক দুর্ধর্ষ রূপ,
টাটকা রক্তে ফোঁড়ন দিয়ে কবিতায় শব্দমাপে।
হলুদ হয়েছে লাল…চূনের সাথে বেমাজাল….
যেনো শক্তি হারায় মরিচের লাল…
লবনের স্বাদ আজকাল পানসে হৃদযন্ত্রে বেশ মানায়…
মাগনা জিনিস বেপোরোয়া রঙের পর রঙ বদলায়…
ঝলসানো রুটি চাঁদের ন্যায় ফুটো চাল দিয়ে পান্তা ভাতে মিশে,
ক্ষিদের পেটে ক্ষুধার্তরা চাল ডালের সাথে আটা গিলে।
কখনো মনে হয় কি বোকা আমি বা সৎসাহস আমার হয়তো নেই,
শব্দের অস্ত্রে লিখে যাই কবিতায়…..
কাপুরুষতায় মন পরে থাকে শব্দহীনতায়।
হিম্মতের ঘরে জং ধরেছে বোধহয় তাইতো মানুষ হাঁটুভর দেয়…
অন্ধ মানুষের হাতে টর্চ দিয়ে দেখিয়ে দিতে ইচ্ছে করে যে ওরা জন্মান্ধ নয়।
প্রতিবাদেরাও মজুরী খোঁজে…..
প্রতিবাদীদের কথা নাই বা বললাম এই পটভূমিকায়।
লাল নীল গেরুয়া সাদা সবুজের প্রভাবে সুদর্শন চক্র নিস্তেজ…
হাতে হাতে চক্র চলে কারও কাটে পেট কারও বা গলা.....
হাসপাতালে সিজার চলে অর্থের যশ বাড়ে টেবিলের তালাবন্ধ ড্রয়ারে,
লাখ লাখ টাকায় বিদ্যার কেনা বেচায় বোকা মানুষের যেনো চোখ ভোঁতা।
মরা রুগীরও চিকিৎসা চলছে চলবে..কে বা জানে ডাক্তার ছাড়া,
হাতের মুঠোয় আসছে লক্ষী নেই খরচা উপরি পাওনা ।
ডেথ সার্টিফিকেট একদিন পর আই সি ইউর বিলের পর।
এমনি করে জীবন চলে বেঁচে থাকাই সার…..
পটভূমিকায় জীবন নাট্যে কখন যে হ্যাঁচকা টানে আসবে উপসংহার,
বাঁচতে চাইলেও বাঁচবে না আর পাবে না নিস্তার।