গুরু দক্ষিণা যেনো কেমন গেঁয়ো হয়ে গেছে…..
আদ্দিকালের শব্দটি শোনলে গা পিত্ পিত্ করে……
এসব এখন আবার চলে নাকি?...
পড়েছি আমি-শিখেছি আমি…
এসব পাঁচ সিকা দক্ষিণা?কেনো বাবা!
গুরু তো মাইনে নিচ্ছে পড়াতে তো হবেই।
ঢাক ঢোল বাজিয়ে গুরুকে সম্বর্ধনা জানানোর কি কোন মানে আছে?
এই তো সেদিন যে ছেলেটিকে স্যার মেরেছিলো…তার কি দোষ ছিলো বলো?
ঠিক করেছে ছেলেটির মা বাবা এসে উচিৎ শিক্ষা দিয়েছে।
স্কুলের নামে টালবাহানা…প্রাইভেট টিউশনে আসল পড়া…
এতেই যখন হচ্ছে পড়া…..কিসের আবার গুরু দক্ষিণা?
আসলে হারিয়েছে গুরু নৈতিকতা…
শিক্ষা নামক যন্ত্রের পরিচালিত নিমিত্ত মাত্র।
মনে পরে আমার স্কুলের উপ প্রধান শিক্ষকের নাম রমেন্দ্র বসু।
আজও মনে পরে উনার আদর্শের কথা…
অনেক কথার ফাঁকে….
বলেছিলেন তিনি টাকা থাক্ বা না থাক্ ভ্রমণ করতে ভূলে যেও না।
উনার কাছেই শুনেছিলাম বিভিন্ন জায়গার কথা…
শুনেছিলাম তখন কলকাতার কথা,সিমলা,মানালি আর হিল্লী দিল্লী কত কিছু।
অবশেষে বড় হলাম…বিভিন্ন জায়গা চাকুরী সুত্রে দেখলাম…বেড়ালাম…
এখন বুঝেছি শিক্ষক মহাশয়ের আদর্শকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাওয়াটাই হচ্ছে আসল গুরু দক্ষিণা।
যিনি গুরু…..
উনার আদর্শই হচ্ছে পাথেয়,
আগন্তুক জীবনের পথপ্রদর্শক।
প্রণাম করি এখনও উনাকে,
যা দিয়েছিলেন শিক্ষা আমাকে।