সেই কবেকার শৈশবে আনন্দ ছিলো পৌষালী প’রবে,
মেরামেরির খেড়ের ঘরে রাতের পিকনিক মনে পরে।
খেড়ের উপরে লম্ফ জম্ফ দিয়ে ট্রামপোলিনের মজা,
কত শত সতর্কবানী কানে যেতো,”হুলুস্থুল করিস না”।
ভোর বেলায় জ্বলবে এবার একদিনের ঐ মেরামেরি ঘর,
হাজির হতাম শীতসকালে উফ্ বাবা নমঃ বিষ্ণু স্নানের পর।
মায়ের হাতের পাটিসাপ্টা সেদ্ধ পুলি এখন আর কোথায় পাই,
দেশী গুড়ের পিঠে পুলি আমূল দুধের ক্ষীর যা আছে তাই খাই।
মোচড় খেয়ে শীতের রাতে আবেগগুলো কঠিন হয়েছে তাই…
শীতের রোদে নলেন গুড়ে আর পায়েসের গন্ধ তেমন নাই।
খই মুড়ির সাথে বাজারের মিষ্টি সব ডাইনিং টেবিলে সাজিয়ে,
পাটা পুতার নেইকো কদর রান্না ঘরের ঝামেলা গেছে গুচে।
মিক্সিগুলো স্থান পেয়েছে সুইচ্ টিপলেই ডাল চালের গুড়ো,
ঢেঁকি গুলো দূরে আছে পড়ে যেনো গ্রামের দেশের বুড়ো।
কদিন পরে সুইগী জমাটো টিকিট কাটবে রান্না ঘরের তাকে,
সংস্কৃতি পড়ে রবে বই পত্তরে কিংবা মনের ঘরের বন্ধ বাক্সে।
আবেগগুলো কিম্ভূতকিমাকার জলের মতো পাত্রের রঙে সাজে,
অত্যাধুনিক সমাজে ওরাও রঙ বদলায় কিন্তু একলা বসে কাঁদে।
মনের আবেগ খেড়ের ঘরে জ্বলছে যেনো চিতার আগুনে,
তেমন মজা পাই না কেনো যা ছিলো শিশু সুলভ মনে ।