ঐ যে প্রজাপতিটা খেলায় মগ্ন ক্ষেতের হাওয়ায়
ফুলের সাথে সে বলে কথা আর পরাগ ছুঁয়ে হাসায়...
সে যখন করত গান সবাই বিস্ময়ে হতো  মন্ত্রমুগ্ধ
সবাই তার ছোট্ট কথায় হতো যে বড়োই উদ্বুদ্ধ l


তখনও এমন ঘটবে কিছু তার যে ছিলনা জানা
সে যে সবে উনিশ তবে মনে আসেনি ঘৃণ্য ছলনা..
নিষ্পাপ সে, প্রকৃতির মেয়ে তাই তো সে   জানত
ক্ষুদ্র আশায় ভর করে সে সবুজ পাতায় খেলত।


একদিন তার দেহের ওপর নজর গেলো চার মাকড়শার
বিশাল রাক্ষুসে পেটে ওদের ক্ষিদে ভয়াল লালসার
বুনল তারা কাঁটার জাল তাকে ফাঁদে ফেলার তরে...
নড়ক কীটের বন্য লালসা লালায় ঝড়ে পড়ে l


শক্তিবলে বন্যগুলো বাঁধলো তাকে শতসহস্র  জালে...
ছোট্ট প্রজাপতির অরণ্যে রোদন এই সমাজের পদতলে...
শুনল চার  ক্ষুদার্ত শয়তান আর যে কেউ নয়...
কাঁটার জালে জড়ালে তাকে সেই পাপিষ্ঠ নির্দয়...


শয়তান তার বীষদাঁত বিঁধলো তার নগ্ন অঙ্গবক্ষে
রক্তাক্ত করে ফেলে দিল তাকে ক্ষেতের অগ্নিকক্ষে
নির্মম তারা শুষে নিল সব একটু একটু করে
প্রজাপতির শত জন্মের স্বপ্ন চিতায় গুমরে মড়ে l

এমন কাহিনী আরও আছে যারা ছায়ার আঁধারে চাপা
নির্ভয়া থেকে হাত্রাস সব হয়নি এখোনো মাপা
সুরায় উন্মত্ত যারা লিখছে যত বজ্জাতির নামে ধর্ম
ধর্মের মুখোশে রাক্ষস যত করছে তাদের কুকর্ম l

এখোনো তোদের রক্ত বরফ হে সমাজের শ্রেষ্ঠ  মানব
তবে খুলে ফেল  এই মানব খোলস হরে তোরা দানব
তোরাও যদি হতিস পুরুষ তবে নাড়ীর কেমনে করিস নাশ?
আসছে রুদ্র ভয়াল শূদ্র তোদের করতে সর্বনাশ l


জালে জাল চারিদিক নড়কের  গুমোট অন্ধকার
জাতহীন পীশাচেরা দেশের নাকি করছে  প্রতিকার !!!!
হে পরআত্মা নড়কের আগুনে এদের করো দান...
নোংরা গুলো চিতায় ফেলে এই সমাজের হোক নব সূর্যস্নান।