মনের আড়ালে উঁকি দেয় ঐ
একটি শব্দ, দুইয়ের সাথে দুই
পুরানো দিনের সেই সব কথা
জুড়ে জুড়ে লিখি সত্য এ গাঁথা...
মনে পড়ে পান থাকতো মুখে তাঁর
প্রিয় ছিলেন সবার, সেরা গেমটিচার
দেবনাথ স্যার, দুগাল ভরা মিষ্টি সেই হাসি
মাঠে পায়ে বল আর মুখে থাকতো বাঁশি l
গৌরী দি পড়াতেন বড় রাশভারি গলে
পৃথিবীটা চেনাতেন ভূগোলের গোলে
চোখ করলে বড় পিলেটা যেত চমকে
দেহ ছিল ভারী হাঁটতেন একটু থমকে l
মনে পড়ে সেদিন ক্লাসের প্রথমবার
স্বপ্নাদি তিন ক্লাসের, প্রথম ক্লাসটিচার
প্রথম ভয়ে অশ্রুধারা নেবেছিলো দুগাল বেয়ে
আঁচলে তাই মুছিয়ে ছিলেন মমতাভরা স্নেহে l
মনে পড়ে সাধারণ বেশে পোদ্দার স্যার
চোখে থাকতো চশমা আর পায়ে চটি তাঁর
অংকের সাথে করাতেন ভাব বুদ্ধির বলে
ভুলিনি তাঁর অঙ্কগুলো ক্লাসটি গেছে চলে l
বাংলার ক্লাস আমাদের নিতেন শিলাদি
কখনো খুব গম্ভীর কখনোবা মুখে হাসি
পড়া পারলে তিনি হতেন বেজায় যে খুশি
কবিতার সারমর্মে তাঁকে শ্রদ্ধায় ভালোবাসি l
হিরণ্ময় স্যার ছিলেন একটু বেশি শক্ত
ইংরেজিতে দখল তাঁর ছিল যে খুব পোক্ত
তবু ভুল হলে খেলার ছলে করতেন তা রপ্ত
আমি তাই ছিলাম তাঁর ছোটবেলার ভক্ত l
ইতিহাসের কংকনাদি ছিলেন ঠিক আপন দিদি
এত শাসন এত বারণ দুস্টুমী ছিল অকারণ
ইতিহাসের হাঁসটি রামধনু জলে এখোনো যে ভাসে
আদিমানব ফোকলা দাঁতে হাসে ঐ নীল আকাশে l
বিজ্ঞানের প্রথম জ্ঞানে ভুলিনিযে তাঁর
প্রিয় সুষ্মিতাদি আপনাকে বার বার
অতিজ্ঞানের প্রশ্নবানে ভাবতাম জ্ঞানী
লহ প্রণাম, সময়টা ছিল বড্ডো অভিমানী l
রাঙা স্মৃতির চাদর জড়িয়ে
চার দেওয়াল আজও দাঁড়িয়ে
তার ভেতরের নতুন খোয়াব
নব প্রজন্মের নতুন ভাব
নতুন টিচার নতুন দল
পুরোনো মাঠে নতুন বল
নতুন ঘাসের ওপর নতুন নতুন পা
ভোরের শিশিরে আবার নবীন আভা
আবার নতুন টিচার বাঁশি বাজাবে
নব প্রজন্ম জাতীয় সংগীত গাইবে
ভুলবোনা আমরা সেই আনন্দ নিদারুন
নানা রঙে রাংতায় মোড়া সেই ক্লাসরুম
শ্রদ্ধায় আমাদের আজও বুক ভরা
স্বপ্নময় বর্ণময় নবীন চোখ জোড়া
আমাদের প্রিয় দিনটিতে
ইতিহাস তাই লিখে যাবে
লহ এই অর্ঘ এই উৎসর্গ
আজও তাই প্রিয় যে
"টিচার্স ডে" l
"দ"