তুমি দেখ কুয়াশায় ঢাকা বিস্তীর্ণ সবুজ ভূমি ।
আমি দেখি আঁখিতে অশ্রু টলমল তুমি ।
তুমি দেখ উত্তাল ঢেউয়ে সমুদ্র দেয় জলের ছিটা ।
আমি দেখি তার প্রবল আঘাতে কত মানুষ হারিয়েছে ভিটা ।
তুমি দেখ জীবনের অলিগলিতে সুখের হাতছানি ।
আমি দেখি ক্ষুধার্ত পথশিশুর চোখে পানি ।
তুমি দেখ বিশাল অট্টালিকার প্রতিটা বালিকনায় সুখ ।
আমি দেখি স্বজন হারা মানুষের বিদীর্ণ দর্পণে মুখ ।
তুমি দেখ শীতের সকালে কোকিল গাইছে গান ।
আমি দেখি মানুষের প্রতি তার প্রচণ্ড অভিমান ।
তুমি দেখ সাঁঝের বেলা পাখির নীড়ে ফিরে যাওয়া ।
আমি দেখি অসহায় মায়ের খোকা ফিরবে বলে পথ চাওয়া ।
নবম না পেরোতেই তোমার প্রিয়তমের হাতে হাত রাখা চাই ।
একাদশ পেরিয়েও আমি এমন সাহস খুঁজে না পাই ।
তুমি চাও যেন ভাঙ্গে তোমার ঘুম,
শান্ত সকালে সোনালী রোদের তরে ।
আমি চাই যেন ভাঙ্গে আমার ঘুম,
মহাগ্রন্থ আবৃত্তির পবিত্র স্বরে ।
তুমি চাও যেন ঠিক থাকে তোমার নিবাস,
উড়ে গেলেও অন্যসব প্রবল ঝড়ে ।
আমি চাই ঠেকাতে তাণ্ডব আজানের সুরে,
প্রায় উড়ন্ত খুঁটি ধরে ।
তুমি চাও খাদ্য নিরাপত্তা,
বছরের খাবার ঘরে মজুদ করে ।
আমি চাই রেখে দুবেলার অন্য বিলিয়ে দিতে সব,
যেন প্রতিবেশী কেউ ক্ষুধার কবলে না পড়ে ।
ওগো পিচ্ছি বলো,
কেমনে ধরি তোমার হাত ।
যখন দুজনার স্বপ্ন ভাবনায় শুধুই বিবাদ ।
..........................