বুকে মিশিয়ে বুক ডুবে একে অন্যের খেয়ালে,
শুয়ে খোলা আকাশের নিচে আঁকে প্রেয়সীর ছবি মনের দেয়ালে।
আহ! কত সুখ করে থৈ থৈ।
এত সুখ ছলনার স্বর্ণমহলে কই?
স্বর্ণমহলে শুয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ দেয়ালে।
মাঝখানে সীমা টানে কোলবালিশ নামক শেয়ালে।
পাশাপাশি শুয়েও দেখেনা একে অন্যের মুখ,
আলোকের ঠোঁটে চুমু দিয়ে পায় কৃত্রিম সুখ।
প্রেয়সীর দৃষ্টিসীমায় প্রেমিকের মুখ ছাড়া কিছুই নাই,
ছাদ হয়েও আকাশ পায়নি একটুও ঠাঁই।
জড়িয়ে ধরে বলে, এভাবেই অনন্তকাল থাকতে চাই।
এক যুগ দেখার পরও বলে, নাহ, দেখা হয় নাই।
চাঁদ হেঁসে বলে, "লজ্জায় মরি।
খোলা আকাশের নিচে খাচ্ছিস চুমু,
না দেখেই বা কি করি। "
স্বর্ণমহলে তখন চলে অন্য খেলা।
সন্ধ্যা নামলেই বসে হিসেবের মেলা,
"গত মাসের দু'লাখ টাকা পাই,
দাও দাও এক্ষুণি চাই। "
তাচ্ছিল্যে হেসে বলেন সূর্যি মামা,
"তোদের জীবনে আসলো না আলো,
দিনেও তোরা আঁধারের চাইতে কালো। "