১৯৭১ সালে হেমন্তের
মাঠে ছিল না কোনো শস্য
ছিল না গাঁদা সরষে ফুল,
মাঠে ফলেনি কোনো হৈমন্তী ধান।
কৃষকের ঘরে হয়নি নবান্ন উৎসব।
বাতাসে ছিল না কোনো ফুলের সুবাস
পাখির কন্ঠে ছিল না গান,
বাতাস ছিল ভারী
বাতাসে রক্ত বারুদ আর লাশের গন্ধ
মাঠ ঘাট সকল প্রান্তর সুনসান নিরব।
পাকিস্তানি বর্বর রক্তচোষা নরপিশাচদের
বেয়নেটের খোঁচা আর গুলিতে
পথে প্রান্তরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল
মানুষের মৃত পঁচা গলা নিথর দেহ।
সেদিন এর বাতাসে ছিল
সন্তান হারা মায়ের নিরব আর্তনাদ,
যে সন্তানকে তার মায়ের কোল থেকে কেড়ে
হত্যা করা হয়েছিল আছাড় মেরে।
সেদিন এর বাতাসে ছিল
পিতার হৃদয় চেরা কান্নার আহাজারি,
যে পিতার চোখের সামনে তার
কিশোরী মেয়ে হয়েছিল গণধর্ষণের শিকার।
সেদিন বাতাসে ছিল
দেশকে ঘাতক মুক্ত করার স্লোগান-
জয় বাংলা। জয় বাংলা ধ্বনিতে ঘাতকের হৃদয়ে ধরেছিল কাঁপন।
দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর
ত্রিশ লক্ষ শহীদ, মা বোনের সম্ভ্রম হারিয়ে
এদেশে গৌরবময় বিজয় আসে
১৬ ই ডিসেম্বর।