রাতের
সানাই
সীগালেরা
মাথা
সমুদ্রের
জোনাকির
আছাড়
স্বপ্নেরা
জেগে
রেখে
আছে
কুলেতে
নরম
আলোমেখে
যায়
ধুম
ঘুম
নেচে
কোলে
বাসা
খায়
বাঁধে
ডানায়
কালোরাত
আহা! চোখ না-ছুঁতেই পাশ কেটে চলে গেল কী অপরূপ এক সুন্দর! বারবার ফিরেও তাকে আর দেখলুম না! ঘরে ফিরে, দালানের চত্বরে কফি খেতে খেতে তাকেই তো পেয়েছিলাম, রাখলামও খুব যত্ন করে গোপনে কোথাও, কিন্তু গেলো কোথায়, ঐ খানেই তো ছিল – সেই খোঁজা শেষ হয়নি আজো। তাকে না-পাওয়ার বেদনায় ডুবে থাকি প্রতিদিন সমুদ্রের নোনা জলে। এসবের মধ্যে কোত্থেকে একটা ভারী সুন্দর বিড়াল এসে মেউ মেউ করে মাতাল করে দিলো বাড়ী। কী করে বলি যে তুমি যাও ? সবই যে জীবনের ধন! তার প্রয়োজনে সে এখন ডেকে সারা। কিন্তু আমার মতো করে তাকে আর ভাবতে পারছি কোথায়! নির্জন সেই বিকেলে ঝমঝম বৃষ্টি এলো । কোত্থেকে এক কলা ব্যাঙ গলা ফুলিয়ে জলে বসে অমনি দার্শনিক। তার দিকে চোখ ফেলে একাকীত্বে ভরে উঠলো হৃদয়। নিঃসঙ্গতাই সত্য। কিন্তু অস্তিত্বের আনন্দে এবং প্রশংসার প্রত্যাশায় নিজেও স্রষ্টার সামনে ভক্তের পিঁড়িতে বসে পড়ি। তাকে ছাড়া বেঁচে থাকার আনন্দই বা কি! এমনি সময়ে আস্তে আস্তে কাছে এলো, ছিটেফোঁটা পায়ে এলো সমস্ত শরীর জড়িয়ে ধরলো বৃষ্টি। শিরশির একটা কাঁপনে কফির কাফটি হাত থেকে পড়ে গেল। মনের এলোমেলো ভাবনাগুলো শব্দগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়লো জলে আর মাটিতে। সম্বিত ফিরে সেই হারানো শব্দগুলো খুঁজছি । যেগুলো পেয়েছি সাজিয়ে রাখছি সামনে। হারানো কুড়ানো সেই সব শব্দগুলো নিয়েই আমার প্রতিদিনের সংসার।