ভগ্নস্তূপ ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই
ভাঙ্গা তীক্ষ্ণ কাঁচের ফলক বিঁধে আছে আকাশের গায়
চুইয়ে পড়ছে রক্ত সান্ধ্য সমুদ্রের জলে
কোন পাখি নেই, জঁ সেবাস্তিয়া বাকের সেলো নেই
আমজাদের সুরবাহার ও নেই
কী এক গভীর নিস্তব্ধ বধির বেদনায়
ভাঙ্গাকাঠ আর বেঁকানো টিনের মাঝখানে বাতাসের অর্গান
টুং টাং খড়কুটোস্মৃতির কপাল ছুঁয়ে ছুটে যায় অবিরাম
হু হু সমুদ্রের বাতাসে মেঘের সাথে আকাশে
কেউ নেই
কেউ দাঁড়িয়ে থাকেনা খাণ্ডবদাহনে
আতসবাজি দেখার মতো করে
ফুল কুড়িয়ে যে যার মতো ঘরে ফেরে অথবা
মালাগেঁথে গলায় ফিরে যায় কিংবা
মনের মত গাঁথতে না-পেরে ফুল ছুঁড়ে
হেঁটে যায় সমুদ্রতীরে সান্ধ্যবিহারে
এই সেই ঘর নিয়মিত জীবন যাপন
প্রতিদিন নানান ফুলেভরা সুরভিত এই সেই বাগান
কতো কূজন গুঞ্জন আর প্রজাপতির ডানায় যেখানে গন্ধ ছড়াতো রাত্রিদিন
ভগ্নস্তূপের উপরে দাঁড়িয়ে
তবু দেখ উদ্বাহু শূন্যে
কেমন করে বেঁচে আছি আমরা দুজন
ধোঁয়াপোড়া গন্ধ শুঁকে শুঁকে