আমি মহান স্রষ্টাকে ছাড়া কাউকে ভয় করি না। কারো দেওয়া আইন-কানুন বিধান মানি না। আমি ন্যায়ের স্পর্শে বোধয় গড়া তাই ন্যায়ের গান গেয়ে যায়। যারা দুর্নীতি করে বা কোন অবৈধ্য পথে টাকা রোজগার করে এবং নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার করে, আমি তাদের শিরে বসে হাতুরি ঠুকি আর তাদের ললাটে লাথি মারি। আমি তাদের ধন দেখে গোলামি করতে শুরু করি না- তাদের গোলামি করে আমার জীবন দৈন্য করতে হবে না বরং তাদের ঐশ্বর্যকে পায়ের তলার পাপুস বানিয়ে আমার রক্ত ঝড়া দু’পয়সার জুতু পুঁছে তার উপর থুঁ থুঁ দিই। যারা যুবকের সেই বীরত্ব জীবনটাকে শেষ করে দেয় আমি সত্যি বলছি, তাদের সামনে পেলে তাদের হাতে-পায়ে বেঁধে পিপড়ার তুরির উপর দিবা-নিশি রেখে দিতাম। তাহলে এইসব বদ ছল-চাতুরি সব দূরে যেত। আমি আমার স্রষ্টার কাছে আবেদন করিব যেন, সেই সব লোকদের স্রষ্টা নিজেই তার ইচ্ছা অনুযায়ী শাস্তি বা তার খুশিতে হেফাজত করেন।
তাই আমি ন্যায়ের স্পর্শে একটি কল্পিত প্রভা-তাই যারা নিরীহ সন্তানদের নেত্রে অন্ধকারের ছাই ফেলে দিচ্ছে, আমি তাদের ঘন আঁধারে জ্যোতি ঢেলে গভীর ভিবাবরীকে করিবই দিবা। লঙ্গিয়ে চালিয়ে জয় করিব নেই যে মোর মৃত্যুর ভয়-সত্যব্রত আমি নেশাকোরের ললাটে কাল-প্রভঞ্জন আমি যে চিরন্ত অক্ষয়।
( কবি )
__________________________________________________
আমি স্রষ্টার সৃষ্টি এক কল্পিত পরশ মনি
আসমান ভেঙ্গে এসেছি তাই আসমানি।
আমি ন্যায়ের স্পর্শে পার্থিব প্রভা
অন্ধ নয়নে জ্যোতি ঢেলে বিভাবরী-দিবা।
আমি মরুর অনন্ত উত্তাপ্ত-তাপ
নেশাকোরের জীবনে ঘন ঘোলাটে অভিশাপ।
মোর উত্তাপে পুঁড়ে ছাই-নেশা বিক্রেতা
আমি জানি সেও মানুষ,হোক যত নেতা।
কিনারে পেলে ছাপায় ইট আর লাথি
শিরে বসে দিতাম ঠুকি ঠুকি হাতুরি।
আমি জানি ঐ রাজা করবেনা বিচার
পুনঃ, দলে আসিবে বলে তাই-
হেমার লয়ে দু’বাহু দে,মুখে দিই আচার।
আমি স্রষ্টার সৃষ্টি এক কল্পিত পরশ মনি
আসমান ভেঙ্গে এসেছি তাই আসমানি।।
তোর ঐশ্বর্য দৌলতে আমি দে থুঁ থুঁ
নেশা বিক্রির ধনে পুঁছি দু’পয়সা জুতু।
আমি মানি না কারো আইন বিধান
আমি স্রষ্টার বস্তু এক কল্পিত মনি দান।
কারো করেনি গোলামি কারো চাকরি
ভীরুতার নেই অঙ্গে গোলামি হাহাকারী।
নেশার মাথায় ভেঙ্গে ফেলি আকাশ
দু’চরণ দু’দিকে মাঝে দিই বাঁশ।
বাপের বেটা হলে আয় যুবকের ধারে
শির তোর হস্তে নিবে টেনে ছিড়ে।
লুকিয়ে থাকি ভব সাগরে উর্মি আড়ে
তাই তিক্ত সুখে—
তিলে তিলে ক্ষয়,তিরোধান ধোকে ধোকে।
আমি স্রষ্টার সৃষ্টি এক কল্পিত পরশ মনি
আসমান ভেঙ্গে এসেছি তাই আসমানি।।
দিবালোকে খায় যুবক নেশা
টাকার জন্য ঘুরে বেড়ায় নেই কোন দিশা।
করে লুট-পাঠ কনক গহনা কেঁড়ে
পিছনে চলে শমশের হাতে ধীরে।
যদি পেতাম—
তোর হাতে বেঁধে পায়ে বেঁধে পিপড়া তুরি
রাখিতাম দিবা-নিশি! দূর হত বদ চাতুরি।
খেলছিস খেলা ছল-চাতুরি করে হাসি
দেশের মহাকাল দল, তোরা সর্বনাশী।
আজও বঞ্জিত যুবক তোর ভয়ে ত্রাসে
ক্ষীণ তনু অসহায় তোর বিষ-নেশা গ্রাসে।
এ কেমন প্রভাতের আলো, হাসিল কোন সুখে
হাসিতে বাঁধন ছিড়ে, সুখ ভরা যেন বুকে।
ওরে এসেছে নৃত্য প্রভাত এসেছে ভবে
ভয় নেই আর তোদের ভয় নেই শির তুলো সবে।
কোন পথে যাবি তোরা শোনি?
চারদিকে মুক্তির সংগ্রাম বাঁজিল শঙ্খ ধ্বনি।
স্থল পথে যা, জল পথে যা গেয়ে গান
নিঃশ্বাসে তোর দিয়ে দে তোর প্রাণ।
আমি স্রষ্টা ছাড়া করেনি কাউকে ভয়
সত্যব্রত আমি চিরন্ত উদয় অক্ষয়।
আমি স্রষ্টার সৃষ্টি এক কল্পিত পরশ মনি
আসমান ভেঙ্গে এসেছি তাই আসমানি।।