শত-ঝড় তুফানে দাঁড়িয়ে আমি
আমি ন্যায়ের যুদ্ধা বীর-শহীদ-গামী।
দেশের ভিতরে কেমনে ঢুকিল নেশা?
খুঁজে পাইনি খুঁজে তাহার দিশা।
দুর্নীতিরা করে যায় চোরি সবার সামনে
শক্তি থাকিতেও দাঁড়ায় নাহি ভয় প্রাণে।
ক্ষুধার পেটে মারিয়া হেমার-হাতুড়ি
লুটে নিল দেশ কেঁড়ে করে ছল-চাতুরি।
যুবকের মুখে ঢেলে ফিনসিডিল মদ
ঠেক-ডাকাতি ধরিল সব পথ।
এই গান গাহি তাই জেগে অহরহি
আমি নেশা বিদ্রোহী, নেশা বিদ্রোহী।।

নেশা মাথায় ছিটকিয়া হারালো প্রাণ
মান্য শয্যা ঘুমালো দিতে নাহি সম্মান।
নেই পক্যাটে মাইনী তাই শমশের
দু:খিনির--
যাহা ছিল সব হারলো ভাঙ্গা আগরের।
কাঁদিতেছে আর দুঃখিনী তার মন ভুলাতে
বক্ষ পিঠে হেমার মারে দঃখ দু’বাহুতে।
লুটে কিনে নেশার বোতল চারপাশে
বাঁধন ছিড়ে অধরে তার হাসিতে।
এই ভবের রাজা সে নেশা আছে
যায় নি তাই হাত পেতে কারো কাছে।
দৌঁড়াতে হবেই এ হাহাকার
চাই শুধু চাই ওরে এর প্রতিকার।
তাই এ গান গাহি বাঁজাইয়া বীণা
নেশার বিরুদ্ধে আমি এক মহা-সেনা।
আমি নেশাহীন এক শান্ত পিপাসী
আমি নেশা বিদ্রোহী,নেশা বিদ্রোহী।।


শহরে! অলি-গলি চোরে বেঁধে দল
সুযোগ পেলে লুটে তুরগ চঞ্চল।
তারা ক্ষুধার হাতুরি মারিয়া পেটে
ভিখারিনীর হস্তের মাইনী কেঁড়ে লুটে।
গাজা আর ইয়াভা লভিয়া হষ্র হাতে
সর্বনাশা নেশার মৃত্যু তার রাজপথে।
উপাস সন্তান ভূখা পত্নী তার গৃহ
নেশায় ডুবে হাবু-ডুবু নেই প্রীতি স্নেহ।
এ কেমন বিচার বিবেক তাই—
গাহিয়া যায় তাই নেশা বিদ্রোহী গান
শান্তি ভিখারি আমি বাঙ্গালী সন্তান।
রজনী-দিবা রবি তলে,উর্ধ্বে কন্ঠে বাণী
আমি নেশা বিদ্রোহী,নেশা বিদ্রোহী।।
ওরে যুবক—
হস্তে শাবল বক্ষে সাহস মুখে ডাক বাঁশি
নেশা বিদায় শান্তিগামী ভয় নেই ফাঁসি।
আমরা সবাই স্বাধীন! গড়িব তরুণ ক্ষীণ-হীন
মুক্ত করিব নেশা দ্বারি লাগে ঝ দিন।
তেরিয়া তেজে ভাসিয়ে সিন্ধে ভ্যালা
খেলিয়া যাব মুক্তির মরন খেলা।
স্থলপথে জলপথে নামো বীর সন্তান
দস্যুর পথ লঙ্গিতে হবে এ আহবান।
নৃত্যে চলো নব প্রভাত আশা
ভেঙ্গে পেল উৎপতি গড়ে যেখানে নেশা।
এ গান গাহি তাই জেগে অহরহি
আমি নেশা বিদ্রোহী,নেশা বিদ্রোহী।