শোন বাঙালী শোন বিশ্ববাসী এক অপূর্ব ইতিহাস
মিয়ানমারে যুদ্ধ লাগল বাঁচার নেই ইহাদের আশ।
হৃদয়ে কষ্ট বিঁধে যদি মনে পরে বারে বারে বার
অগ্নি দিয়ে পীর পুঁড়ছে ভেঙে করছে ছারকার।
তাই মুসলিম সব অসহায় ফিরে বঙ্গে কাছে
হায়! এখানে এপ্রাণ যাবে গো বোধয় বাঁচে।
কিন্তু বৌদ্ধদের জন্য আছে কি শান্তি-তারা বড় সীমার
আসহায় শিশু মারছে। তার মা কেঁদে বলে-ওরে ছাড়।
শিশুর পায়ে ধরে দেয় জোরে গাছের পিঠে বারি
মুখ হতে ছিঁড়ে নেয় টেনে-আছে যার লম্বা দাঁড়ি।
হায় রে মুসলিম! ধরণীতে আজ তোরা অসহায়
শির তুলে দাঁড়াবে-এমন তো আজ কেহ বিশ্বে নাই।
মাঝ রাতে রুপসী যুবতী নিচ্ছে কেড়ে ঘুম জাগে
চোষে চোষে খায় দস্যুগণ ফেলে তারে ভাগে ভাগে।
এ কেমন আজ বিশ্বের বিচার-বিবেক তুমিই বলো বিধি
তুমি হীনা কে দিবে শাস্তি? দিতে হবে যে প্রাণ তুলে নিধি।
তোমার উপরে কেহ নেই-তাই তুমিই করবে শাসন
আজ যে অসহায় মারছে শিশু তারাই অমর জন।
ক্ষয় নেই ক্ষয় নেই মরছে যারা পরে দস্যুর পেড়ে
আসহায় শিশু-যিশুর নিচ্ছে তাদের প্রাণ কেড়ে।
ওরে বিশ্ববাসী তোরা হাত রাখলে ভীরুর বাঁধে
এ কষ্ট যে মম অন্তরে মুয়াজ্জিনের ধ্বনি হয়ে বিঁধে।
তোমরা দাঁড়াও শির তুলে অসহায় শিশু-অবলার পাশে
বুকে টেনে নাও তাদের অন্তরে-আজ ভালবেসে।
সে যে তুম দুলাল-দুলালীর মতো নিষ্পাপ কঁচি বেটী-বেটা
তুমি থাকতে জীবন নিবে! মারবে দেখি কেটা?
তাই..! ফাঁসির মঞ্জে চল-চলি গাহিয়া মুক্তি সংগ্রাম
দস্যুদের হতে বাঁচে যায় যেন শিশুর জীবন-প্রাণ।
আমি মারিবো দস্যুদের বুকে ইট-পাথর চালাবো অসি
গাহিয়া যাবো মুক্তির গান-জয় ধ্বনির বাঁজিয়ে বাঁশি।
এসো এসো বিশ্ব মুসলিম আছো যত যত কোটি
দস্যুদের হতে মুক্তির জন্য এক সঙ্গে মোরা ছুটি।
গাহিয়া গান বাঁজাইয়া বীণা-হাতে লয়ে অসি
মুক্তির সুরে নৃত্যে চলো বাঁজাইয়া বোধন বাঁশি।
চলো আজ অসহায়দের পাশে গিয়ে সবে দাঁড়ায়
এক বোনের যৌবন এবং কচি শিশুর প্রাণ বাঁচাই।
তাই..! মুক্তির ধ্বনি তুলে চলো-উর্ধ্বে রীক্ষ তর
ঐ দস্যুরা উড়ে যাওক তোর- কাল-বৈশাখীর ঝড়।
রচনাকালঃ ১৭-০৯-২০১৭ ইং
ময়মনসিংহ-বাটিকাশর বড়বাড়ি