বল সাহসী এ কালের তরুন ওরে যুদ্ধার দল
নাহি ভয়, নাহি ভয়
হবে জয়-সত্যের হবে জয়!
হউক তুফান হউক ঘূর্ণি-ঝড় চল নিজ হিম্মতে চল।
বল সাহসী এ কালের অভিযাত্রী বল সকলে
আছি নির্ভর আপন-পর
সত্যের পতাকা উড়িয়ে ধর!
চল মৃত্যুর দোয়ারে হেসে
রাঙ্গা নিত্য প্রভাত আশে;
ভয় নেই ভয় নেই-রক্তমাখা গাত্রী কঁচুপলা পলে পলে।
বল সাহসী বীর উর্ধ্বে তুলে শির উচ্চ কণ্ঠ সুরে
সত্য চিরজয়ের ধ্বনি
নিশ্চুপ পিশাচ সব ধরণী;
খোঁজে দেখ আপনার মাঝে
সেথা অনিদ্রায় ভগবান রাজে।
শাবল মারো শাবল ছুড়ো খলিজা আনো বাহিরে।
বল সাহসী ঠোঁট ফেটে পড়া লোহার শিকল ছিড়ে
মারিব পাথর জালিমের বুকে
সত্য কি কভু শক্তি হারাবে;
মারিব শাবল করবে যে ত্রাস
বাঁধিবে কোন কারাগার বা ফাঁস?
পাথর মারো পাথর ছুড়ো শিকল বেরির বাঁধ ছিড়ে।
বল সাহসী রক্তহীন কি মায়াজলে স্বাধীন কভু হয়;
লজ্জা পর্দা চক্ষু দর্পণ
টেলে ফেলে দূর-করো অর্পণ।
আত্মবিশ্বাসী হবো লয়
আনিব তবু জয় সত্যের জয়
নাহি ভয় নাহি ক্ষয় এ প্রাণ করিব দান আমি অক্ষয়।
বল সাহসী নতুন রক্তস্রোতের নদ খলখল উচ্চকণ্ঠে
আমি উদয় পথের যাত্রী
বিদ্রোহী, বিদ্রোহী-দিবা-রাত্রি
সেখানে অন্যায় সেখানে প্রতিবাদ
ছিড়িয়া হস্ত ভীরুর বাঁধ।
গাঁথিব শাবল ওরে জালিম কাটিব কঁচুপলা বন্টে বন্টে।
বল সাহসী পৃথিবীর ভবিষ্যৎ উজ্জল যোয়ান জোনাকি
নাহি পাই, ভয় নাহি পাই
সকলের অধিকার সকেলে চাই!
আমি পুঁড়িব নিবাস-
করিবে যে অধিকার নিয়ে ত্রাস।
আমার হিম্মত ত্রি-ভুবনের তুফান এবং চঞ্জল অগ্নি গিরি।
বল সাহসী নবীন পথের নবীন যাত্রী সকলে হেসে
হা! হা! হা! আমি অগ্নি-শিখা
পুঁড়ে করি ছাড়কার সিন্ধু শীতলা!
অন্ধ করি সুঁই গেঁথে চক্ষে
খলিজা ছিড়ে হলি খেলি ছিড়ি বক্ষে;
আসুক তুফান দিবো জান-গাহিব তবু সত্য জয়ের আশে।
আমি বিদ্রোহী
চির সত্য জয়ের যাত্রী
আমি যুদ্ধা বীর উত্তম।
রচনাকালঃ ১১-০৪-২০১৯ইং
বাটিকাশর,বড়বাড়ি ময়মনসিংহ